সেনাবাহিনীর বাধা ও পুলিশের হাতে গ্রেফতারি এড়াতে লুকিয়ে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে প্রবেশের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির তেহরিক ই ইনসাফ দলের প্রধান ইমরান খান।
আগামী ২ নভেম্বর তার দলের বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে রাজধানীতে। সরকার সেই জমায়েত ও বিক্ষোভ কর্মসূচি আটকাতে তৎপর। রাস্তায় টহল দিচ্ছে পুলিশ ও সেনা। তাই সমাবেশ সফল করতে সমর্থকদের গোপনে রাজধানীর রাস্তা দখলের নির্দেশ দিলেন ইমরান খান। খবর কলকাতা টোয়েন্টিফোরের।
পানামা পেপার্সে ফাঁস হওয়ার পর দেশের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দুর্নীতিতে জড়ানোর খবর প্রকাশ্যে আসে। সেই তালিকায় আছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের পরিবারের। বিপুল আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ এখন শরিফ পরিবার। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন ইমরান খান। আর এ কারণে রাজধানী ইসলামাবাদ অচল ও জাতীয় আইনসভা ঘেরাও কর্মসূচি নিয়েছেন তিনি। তবে, নিজের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নওয়াজ শরীফ।
এদিকে, বিক্ষোভ রুখতে ইসলামাবাদকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তেহরিক ই ইনসাফ কর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে কয়েকটি বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয়েছে। পেশোয়ার-ইসলামাবাদ সড়ক বন্ধ। দেশের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ থেকেই ইমরান সমর্থকরা রাজধানীতে বেশি ঢুকবেন। এই প্রদেশেই ক্ষমতাসীন তেহরিক ই ইনসাফ।
ইমরান খানের অভিযোগ, দেশে গণতন্ত্র নষ্ট করেছেন নওয়াজ শরীফ। তাকে এর চরম মূল্য দিতে হবে। পুলিশ ও সেনা দিয়ে কোনভাবেই ইসলামাবাদের সমাবেশ বন্ধ করা যাবে না।