আওয়ামী লীগের এবারের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বড় পরিবর্তন হয়েছে। ঘোষিত কমিটিতে বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের ১৬ জন নেতা গুরুত্বপূর্ণ পদে স্থান পেয়েছেন। আর বর্তমান মন্ত্রিসভার ৪৫ জন দলীয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর মধ্যে ৩৫ জনই কমিটিতে ঠাঁই পাননি।
দলের গুরুত্বপূর্ণ সূত্রগুলো বলছে, দল ও সরকার আলাদা করার একটা পরিকল্পনা রয়েছে দলীয় প্রধানের। এ জন্যই সম্পাদকমণ্ডলীতে সাধারণ সম্পাদকের বাইরে মন্ত্রিসভার কাউকে রাখা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীসহ সভাপতি মণ্ডলীতে আছেন আরও ছয়জন মন্ত্রী। নির্বাহী সদস্য পদে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী আছেন তিনজন। সব মিলিয়ে মোট ১০ জন মন্ত্রী নতুন কমিটিতে আছেন। আগের কমিটিতে এ সংখ্যা ছিল ১৫।
নতুন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে ২৭ জন নতুন মুখ। তাঁদের মধ্যে ১৯ জন নির্বাহী সদস্য পদে এসেছেন। কেউ কেউ এসেছেন জেলা পর্যায় থেকে। আগের কমিটির ১৯ জন এবার বাদ পড়েছেন। সব মিলে প্রায় সাড়ে ৩৬ শতাংশ নতুন মুখ এসেছেন। এসব অন্তর্ভুক্তি ও বাদ পড়া নেতাদের বিষয়টি এখন দলে আলোচনার প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ৮১ সদস্যের। গতকাল শনিবার ৭৪ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে দলটি। এর মধ্যে সভাপতিমণ্ডলী ও সম্পাদকমণ্ডলীর ৪৩ জনের নাম আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। গতকাল ৩১ জনের নাম যুক্ত করা হয়। এখনো সভাপতিমণ্ডলীর তিনটি ও সম্পাদকমণ্ডলীর চারটি পদ ফাঁকা আছে। দলের দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলছে, সম্পাদকমণ্ডলীর চারটি পদ হয়তো দ্রুতই পূরণ করা হবে। সভাপতিমণ্ডলীর তিন পদ শিগগির পূরণের সম্ভাবনা কম।
এবার কেন্দ্রীয় কমিটিতে ১৫ জন, অর্থাৎ ২০ দশমিক ২৭ শতাংশ নারী স্থান পেয়েছেন। আগের কমিটিতে নারী সদস্য ছিলেন ১০ জন। ২০২০ সালের মধ্যে দলের সব স্তরে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
গতকাল কেন্দ্রীয় কমিটির পাশাপাশি উপদেষ্টা পরিষদের ৩৮ সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। গঠনতন্ত্র অনুসারে, উপদেষ্টা পরিষদ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের অংশ নয়। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যসংখ্যা ৪১। তবে দলীয় প্রধান প্রয়োজন মনে করলে এই সংখ্যা বাড়াতে পারেন।
২০০৯ সালের জাতীয় সম্মেলনের পর উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পাওয়া জ্যেষ্ঠ নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্তরা আগের মতো উপদেষ্টা পরিষদেই আছেন। এতে এবার নতুন যোগ হয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ, সাবেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সতীশ চন্দ্র রায়, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানসহ নয়জন। উপদেষ্টা পরিষদ থেকে বাদ পড়েছেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের চেয়ারম্যান কে এম সফিউল্লাহ।
কেন্দ্রীয় কমিটির দুজন দায়িত্বশীল নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নবীন-প্রবীণের সংমিশ্রণে গঠিত এ কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে আনুগত্যের বিষয়টি বেশি কাজ করেছে। এক-এগারোর সময় ‘সংস্কারপন্থী’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া নেতারা গত দুবারের সম্মেলনের মতো এবারও উপেক্ষিত রয়েছেন।
বাদ পড়া এমন একজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভালো কেউ বাইরে থাকলে সংযোজন হতেই পারে। কিন্তু অধিকতর খারাপ এলেই মনঃকষ্ট হয়।’
বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের প্রাধান্য: আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের নেতাদের প্রাধান্য সব সময়ই ছিল। এবার তা আরও বেড়েছে। ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও গোপালগঞ্জের ১৬ জন নেতা এবার কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাসহ আগের কমিটিতে এ সংখ্যা ছিল ১২।
সম্পাদকমণ্ডলীর একজন নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান হিসেবে বৃহত্তর ফরিদপুর আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নিজ জন্মস্থানকে গুরুত্ব দেন। ছাত্রলীগেও এই অঞ্চলের নেতাদের আধিক্য থাকে। ফলে এই চার জেলায় নেতাও তৈরি হয় বেশি।
বাদ পড়া নেতারা: আগের কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের মধ্যে জোহরা তাজউদ্দীন মারা গেছেন। ধর্ম নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়ার কারণে দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। বাকিদের মধ্যে সতীশ চন্দ্র রায় ও নূহ উল আলম লেনিন বাদ পড়েছেন। এর মধ্যে সতীশ চন্দ্র রায়কে উপদেষ্টা পরিষদে স্থান দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দায়িত্বশীল নেতা বলেন, নূহ উল আলম লেনিন দলীয় প্রধানের সুনজরে নেই, এটা আরও আগেই টের পাওয়া গিয়েছিল। এর কারণ হিসেবে ওই নেতা বলেন, গণজাগরণ মঞ্চের শুরু থেকেই নূহ উল আলম লেনিন নেপথ্যে কাজ করেছেন। পরে সরকারের সঙ্গে গণজাগরণ মঞ্চের মতভেদ হলে লেনিন দলীয় ফোরামে সরাসরি সমালোচিত হন।
এর বাইরে সম্পাদকমণ্ডলী থেকে বাদ পড়া উল্লেখযোগ্য নেতাদের মধ্যে রয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (অর্থবিষয়ক সম্পাদক), সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর (সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক), সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম (মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক) ও স্বাচিপের নেতা বদিউজ্জামান ভূইয়া (স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক)। মুস্তফা কামাল কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার সভাপতি হয়েছেন। ইয়াফেস ওসমানকে উপদেষ্টা পরিষদে স্থান দেওয়া হয়েছে।
আসাদুজ্জামান নূর, তাজুল ইসলাম ও বদিউজ্জামানের নাম কোথাও নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ বিতরণে অনিয়ম ও বিদেশিদের সম্মাননার ক্রেস্ট জালিয়াতির কারণে তাজুল ইসলাম সমালোচিত ছিলেন। কিন্তু আসাদুজ্জামান নূরের ব্যাপারে কোনো অভিযোগ ছিল না। আর বদিউজ্জামান ভূইয়া সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এবার কোনো পদ পাননি। তিনি এর আগে সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
আগের কমিটির নির্বাহী সদস্যদের মধ্যে যাঁরা বাদ পড়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান। অবশ্য তাঁর ছেলে মহিতুর রহমানকে সম্প্রতি ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
এ ছাড়া সাবেক নির্বাহী সদস্য অর্থ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জোনায়েদ আহমেদ এবারের কমিটিতে নেই।
আকস্মিক আগমন যাঁদের: সভাপতিমণ্ডলীতে স্থান পাওয়া পীযূষ ভট্টাচার্য যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে তিনি একেবারেই নতুন। তাঁর অন্তর্ভুক্তি নেতা-কর্মীদের বিস্মিত করেছে। তিনি ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।
একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, তৃণমূল থেকে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান দেওয়ার ঘটনা আগেও ঘটেছে। তবে একেবারে সভাপতিমণ্ডলীতে অন্তর্ভুক্তি বিরল।
অবশ্য পীযূষ ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কেন্দ্রের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল না। তবে স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। জিয়াউর রহমান ও এইচ এম এরশাদের আমলে লোভে পা দেননি। সততা, দলের প্রতি আনুগত্য ও বদনাম না থাকার কারণেই তাঁকে এই সম্মান দেওয়া হয়েছে বলে তিনি মনে করছেন।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর কাছে পরাজয়ের পর মান্নান খানের রাজনীতি প্রায় শেষ বলে মনে করেছিলেন আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ নেতা-কর্মী। কারণ, ওই নির্বাচনে দলীয়ভাবে অনেক প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতিয়ে আনার ব্যাপারে তৎপর ছিল আওয়ামী লীগ। মান্নান খানের ব্যাপারে ওই ধরনের কোনো তৎপরতা ছিল না। ওই নির্বাচনের আগে বাদ পড়েন মন্ত্রিসভা থেকে। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনে কয়েকবার হাজিরা দেন। একপর্যায়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে দলের দপ্তর সম্পাদকের পদও হারান। মান্নান খান বড় কোনো পদে আসতে পারেন—এমন কোনো আলোচনাই ছিল না নেতা-কর্মীদের মধ্যে।
বিগত কমিটির নির্বাহী সদস্য আবদুর রহমানের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকে পদোন্নতি হতে পারে—এমন আলোচনা আগে ছিল না। অবশ্য তিনি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাংসদ এবং দলে সক্রিয়। সম্পাদকমণ্ডলীর একজন নেতা বলেন, সম্পাদকমণ্ডলীতে বিভিন্ন ভারসাম্য রক্ষার জন্য আবদুর রহমানকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনকে বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক করায় দলের অনেকে বিস্মিত হয়েছেন। তিনি ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ছিলেন। চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে মহিবুল হাসান চৌধুরী কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসতে পারেন—এমন আলোচনা আগেই ছিল। তবে তাঁকে সরাসরি সাংগঠনিক সম্পাদক করা হবে, সেটা অনেকের ধারণায় ছিল না। শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন নাহার, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানার বিষয়েও খুব একটা আলোচনা ছিল না। কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য পদে এক ঝাঁক নতুন মুখ এসেছেন। যাঁদের বেশির ভাগই ছাত্রলীগের সাবেক নেতা।
সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্য বলেন, ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। এ জন্যই হয়তো ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের একটা বড় অংশ দ্রুতই এবার কেন্দ্রীয় কমিটিতে এসেছেন।
সাধারণ সম্পাদকের অস্বস্তি: বহু জল্পনা-আলোচনার পর ওবায়দুল কাদের দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েও পুরোপুরি স্বস্তি পাচ্ছেন না বলে তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন। কারণ, তাঁর অনুগত বেশ কয়েকজন নেতা কাঙ্ক্ষিত পদ পাননি। এবারের সম্মেলন জাঁকজমকপূর্ণ করার পেছনে সাজসজ্জা কমিটির দুই নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। নানক আগের জায়গায়ই, অর্থাৎ ৩ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়ে গেছেন। তবে তাঁকে ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করার চেষ্টা করে তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীরা ব্যর্থ হয়েছেন বলে নেতারা জানিয়েছেন। মির্জা আজম বিদায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। তাঁকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হতে পারে, এমন আলোচনা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। আজম তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের কাছে এ বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
এর বাইরে আলাউদ্দিন চৌধুরীকে (নাসিম) এবার কোনো পদেই রাখা হয়নি। সম্মেলনের আগ দিয়ে আওয়ামী লীগের বৃহত্তর নোয়াখালীর নেতা-কর্মীদের পক্ষ থেকে একটি জাতীয় দৈনিকের প্রথম পাতায় বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে আলাউদ্দিন নাসিমকে বড় পদ দেওয়ার জন্য দলীয় প্রধানের প্রতি আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু ২৩ অক্টোবর কেন্দ্রীয় কমিটির ২১টি পদ ঘোষণার পর নিজের ফেসবুক পেজে হতাশা প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দেন তিনি। আলাউদ্দিন নাসিমকে আগের কমিটিতে নির্বাহী সদস্য করা হয়েছিল। পরে তিনি ওই পদ হারান।
ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদারকে ওবায়দুল কাদেরের শক্ত অনুসারী মনে করা হয়। সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগের নেতাদের নিয়ে লিয়াকত সব সময় ওবায়দুল কাদেরকে ঘিরে থাকেন। কিন্তু তিনিও কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পাননি।
নতুন কমিটি সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন-অর-রশিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সম্মেলনে আগামী জাতীয় নির্বাচনের কথা বলেছেন। আবার এ-ও বলেছেন যে তাঁর লক্ষ্য সুদূর, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করা। ফলে দলে নতুনদের বেশি করে স্থান দেওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। প্রবীণদের সঙ্গে নবীনদের সেতুবন্ধ করা একটি গতিশীল রাজনৈতিক দলের মূল কাজ। তাঁর মতে, সরকার ও দলের মধ্যে একটা সীমারেখা থাকা বাঞ্ছনীয়। ১৯৫৫ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে ছিল যে কেউ একাধারে সরকার ও দলের পদ নিতে পারবেন না। মনে হচ্ছে আওয়ামী লীগ সে দিকে যাচ্ছে। এটা ইতিবাচক পরিবর্তন।