নাটোরে খাদ্য কর্মকর্তাদের ঘুষ না দিলে মিলছে না, হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল। এমন অভিযোগ করে ডিলাররা বলছেন, প্রতি টন চালে তাদের গুনতে হচ্ছে ১০০ থেকে ২’শ টাকা। হয়রানির ভয়ে এ নিয়ে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেন না তারা।
তবে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা বলছেন, অভিযোগের সত্যতা পেলে, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দেশজুড়ে চলছে ১০ টাকার চাল বিতরণ কর্মসূচি। যদিও এ নিয়ে অনিয়ম-জালিয়াতির শেষ নেই। দুর্নীতির প্রমাণ মেলায় কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে কোথাও কোথাও।
গরীবের খাবারের তালিকায় নাম রয়েছে ধনীর, এমন অভিযোগই বেশিরভাগ জায়গায়। তবে উত্তরের জনপদ নাটোরে ডিলারদের অভিযোগ, খাদ্য কর্মকর্তাদের ঘুষ না দিলে মিলছে না হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল। প্রতি টন চালে, ডিলারদের গুনতে হচ্ছে ১০০ থেকে দুশ টাকা।
এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হলেও প্রতিকার নেই। উল্টো হয়রানির ভয়ে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেন না কেউ কেউ।
অভিযোগের তির যাদের দিকে, বিষয়টি অস্বীকার করছেন তারা। এ নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি না করতে চলে তদবির আর ম্যানেজ করার চেষ্টা।
তবে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা বলছেন, তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা পেলে, দোষীরা ছাড় পাবে না।
নাটোরে ১৪৬ জন ডিলারের মাধ্যমে চাল বিতরণ করছে খাদ্যবিভাগ।