রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারে অপহরণের পরে হিমাদ্রি মণ্ডল (২৩) নামের এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার হিমাদ্রিকে গলা কেটে হত্যা করে লাশ তুরাগ নদে ফেলে দেওয়া হয়।
গতকাল শুক্রবার আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে শামীম হোসেন নামের এক আসামি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে সাভার মডেল থানা পুলিশ।
নিহত হিমাদ্রি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার রবীন্দ্রনাথ মণ্ডলের ছেলে। তিনি সাভারের হেমায়েতপুরে প্রাণ কোম্পানির পরিবেশক জাহাঙ্গীর প্লাস্টিকের বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হিমাদ্রি আমিনবাজারের সালেহপুর দক্ষিণপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে একটি কক্ষ নিয়ে একাই ভাড়া থাকতেন। তাঁর সহকর্মী শামীমও ওই বাড়িতে থেকে একই কাজ করত। বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় হিমাদ্রিকে অপহরণ করে সালেহপুর এলাকায় গলা কেটে হত্যা করা হয়। এরপর হত্যাকারীরা লাশ তুরাগ নদে ফেলে দেয়। এর পর বৃহস্পতিবার রাতেই সাভার মডেল থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেদিন রাতেই সাভারে অভিযান চালিয়ে শামীমকে আটক করা হয়। পরে শামীম হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল আমিন জানান, আজ শনিবার সকালে পুলিশ শামীমকে নিয়ে লাশ খুঁজতে তুরাগ নদে অভিযান চালিয়েছে।
জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মাহাবুবুর রহমান বলেন, শামীম, সেলিম ও এনায়েত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হিমাদ্রিকে হত্যা করেছে। আদালতে জবানবন্দিতে এ তথ্য জানিয়েছে শামীম।