নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, নদী দখল ও দূষণরোধে কোনো ধরনের কম্প্রোমাইজ করা হবে না। দখল ও দূষণরোধে ক্রাশ প্রোগ্রাম নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, নদী দখল ও দূষণরোধে প্রধানমন্ত্রীর কমিটমেন্ট অনুযায়ী কাজ করছি।
মন্ত্রী বলেন, ‘নদী আমাদের প্রাণ। বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য পড়ে নদীকে দূষণ ও এর গতিপ্রবাহ ক্ষতিগ্রস্ত এবং জনজীবন বিপর্যস্ত করছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নদীর দখল ও দূষণরোধে আমরা সফল হব।’
রোববার (২৪ জুলাই) বিকেলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বুড়িগঙ্গাসহ চারটি নদীর দূষণরোধে বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক প্রস্তুতকৃত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কৌশলপত্র উপস্থাপনা বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এসব কথা বলেন।
সভায় নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, নৌপরিবহন সচিব অশোক মাধব রায়, পরিবেশ ও বন সচিব মো. কামালউদ্দিন আহমেদ, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মো. আতাহারুল ইসলাম এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, সমন্বিত উদ্যোগের মধ্যমে নদী দখল ও দূষণরোধ করতে হবে; নতুবা পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। নৌবাহিনী প্রধানের নেতৃত্বে একটি মনিটরিং ও কো-অর্ডিনেশন কমিটি থাকবে। কমিটিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার উচ্চপদস্ত কর্মকর্তাগণ প্রতিনিধিত্ব করবেন।
সভায় আরও জানানো হয়, কৌশলপত্রে ঢাকা শহরের চারদিকের নদীগুলোর দূষণের কারণ চিহ্নিত করে বিভিন্ন মেয়াদি পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। সেসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে পাঁচ বছরের মধ্যেই বর্তমান নদী দূষণ ও দখল পরিস্থিতি থেকে অনেকটা পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।
ঢাকার চারদিকে নদীগুলোর দূষণের জন্য দায়ী ৬০% শিল্প বর্জ্য, ১৫% কঠিন বর্জ্য, ১৫% অন্যান্য এবং ১০% নৌযানের বর্জ্য। এ সব দূষণ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য এবং সময়সাপেক্ষ। এ লক্ষ্য অর্জনে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।