যশোরের বেনাপোলে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এক গৃহবধূকে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই কর্মী।
প্রায় চার দিন আগে বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালি ইউনিয়নের বালুন্ডায় এ ঘটনা ঘটলেও তা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা হয়।
জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার উদ্যোগ নেয়া হলেও ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে তা সামনে এগোয়নি। থানায় মামলা করতে ভিকটিমকে বাধা দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনার চার দিন পর শুক্রবার সকালে স্থানীয় কয়েকজন যুবক সাংবাদিককের কাছে এ ঘটনার কথা প্রকাশ করেন।
তারা জানান, গত রোববার রাত ৯টার দিকে ওই গৃহবধূ তার বাবার বাড়িতে যাচ্ছিলেন। বালুন্ডা বাজার এলাকায় পৌঁছালে বালুন্ডা গ্রামের হারুনের ছেলে রানা (২০) এবং একই গ্রামের মশিয়ারের ছেলে হাসান (১৬) তাকে ধরে বাজারের ইবাদ আলী আড়তদারের দোকানের ছাদে নিয়ে যায়।
পরে গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ শেষে ভোরের দিকে হাত ও মুখ বেঁধে ওই ছাদের ওপরেই ফেলে রেখে যায় দুই আওয়ামী লীগ কর্মী। সোমবার সকালে বাজারের ঝাড়ুদাররা কান্না শুনে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার তবিবার রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘এ বিষয়ে ধর্ষিতার পরিবার থেকে আমার কাছে বিচার নিয়ে আসা হয়েছিল। আমি সবাইকে নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চালাচ্ছিলাম। কিন্তু ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা বিষয়টি আমলে নেয়নি।’
তিনি জানান, ‘পরে ধর্ষিতার বাবাকে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করার পরামর্শ দেয়া হয়। কিন্তু তারা যাতে থানায় গিয়ে মামলা করতে না পারে, সেজন্য এলাকার কিছু প্রভাবশালী বাধা সৃষ্টি করছে।’
এ ব্যাপারে পুটখালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল গাফফার সর্দার জানান, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার (ওসি) অপূর্ব হাসান জানান, ‘এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করতে আসেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’