সুইডেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্ডার্স ইজম্যানকে উদ্ধৃত করে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভাড়া করা বিমানে তুলে এই আশ্রয়প্রার্থীদের বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হতে পারে। এজন্য কয়েক বছর সময় লাগবে।
সুইডিশ গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, “আমার ৬০ হাজার আবেদনকারীর কথা বলছি। তবে সংখ্যাটি ৮০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।”
সুইডেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্ডার্স ইজম্যান। ছবি: রয়টার্স সুইডেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্ডার্স ইজম্যান। ছবি: রয়টার্স সুইডিশ অভিবাসী কেন্দ্রের বাইরে আশ্রয়প্রার্থীরা ঘুমাচ্ছেন। ছবিটি ২০১৫ সালের ২০ নভেম্বর তোলা হয়। ছবি: রয়টার্স সুইডিশ অভিবাসী কেন্দ্রের বাইরে আশ্রয়প্রার্থীরা ঘুমাচ্ছেন। ছবিটি ২০১৫ সালের ২০ নভেম্বর তোলা হয়। ছবি: রয়টার্স
২০১৫ সালে প্রায় ১ লাখ ৬৩ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী সুইডেনে আশ্রয়ের আবেদন করেন। ইউরোপে একক রাষ্ট্র হিসাবে এই সংখ্যাই সর্বোচ্চ।
এই বিপুল সংখ্যক আবেদনের মধ্যে গেল বছর ৫৮ হাজার ৮ শ’ আবেদন যাচাই-বাছাই করা হয়। শেষ পর্যন্ত সরকারের অনুমোদন পায় ৫৫ শতাংশ আবেদন।
দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা জানান, এই আবেদনকারীদের মধ্যে ৩৫ হাজার ৪শ’ অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিল, যাদের সঙ্গে কোনো অভিভাবক ছিলেন না। ২০১৪ সালের তুলনায় এই সংখ্যা পাঁচগুণ বেশি।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার হিসাবে, গতবছর ১০ লাখ ৫ হাজার ৫০৪ জন শরণার্থী গ্রিস, বুলগেরিয়া, ইতালি, স্পেন, মাল্টা ও সাইপ্রাস হয়ে ইউরোপে প্রবেশ করেছেন। এদের মধ্যে ৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৫২ জনই ইউরোপে পৌঁছেছেন সমুদ্র পাড়ি দিয়ে।
আশ্রয়প্রার্থীদের স্রোত ঠেকাতে সুইডেন সম্প্রতি সীমান্তে কড়াকড়ি বাড়িয়েছে।