সিরাজগঞ্জে পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ থানায় ককটেল নিক্ষেপকারী আহত শিবিরকর্মী আনিসুর রহমান আনিস (১৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
সোমবার সকাল পৌনে ৬ টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে তিনি মারা যান।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফয়সাল আহম্মেদ ও অর্থোপেডিক বিভাগের মেডিকেল অফিসার নূরুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আনিস মারা গেছে।
পুলিশ জানায়, রোববার সন্ধ্যায় থানায় ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় আনিসের আরো পাঁচ সহকর্মীকে আটক করা হয়। তারা হলেন-আমিনুল ইসলাম, আব্দুল জাব্বার, কাউসার আলী, বিপ্লব হোসেন ও আয়নুল হক।
এরা সকলেই ইসলামিয়া সরকারি কলেজ ও ভাসানি ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ও শিবিরকর্মী।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম জানান, বদর নেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসির পর জামায়াত-শিবিরের ডাকা সোমবার হরতালের আগে রোববার সন্ধ্যায় শিবিরকর্মী আনিসের নেতৃত্বে বৃষ্টির মধ্যে সদর থানায় দু’টি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। পরে পুলিশ ধাওয়া করে আনিসকে আটক করে। তার স্বীকারোক্তি অনুয়ায়ী শহরের নবদ্বীপ পুল সংলগ্ন ভাই-ভাই ও আশেপাশের দু’টি মেস থেকে তার পাঁচ সহকর্মী আটক করা হয় এবং তিনটি ককটেল উদ্ধার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শহর রক্ষা বাঁধের পাশে রাত সোয়া ১২টার দিকে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় সেখানে থাকা শিবিরকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বেশ ক’রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে আনিসের ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে সে মারা যায়।