রাজধানীর জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তারা রোগীদের ভুল বুঝিয়ে আশপাশের নিম্নমানের ও ঝুঁকিপূর্ণ ক্লিনিকে নিয়ে যায়। চিকিৎসা সহায়তার কথা বলে হাতিয়ে নেয় হাজার হাজার টাকা। এই প্রতারক দলে আছে পঙ্গু হাসপাতারের কর্মচারীরাও।
মঙ্গলবার এমনই সংঘবদ্ধ চক্রের ২০ সদস্যকে হাতেনাতে ধরেছে র্যাব। এরপর ১৬ জনকে কারাদণ্ড ও জরিমানা দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। অভিযানকালে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আককৃত চার হাসপাতাল কর্মচারীকে হস্তান্তর করা হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। তারা হলেন- এমএলএসএস জাকির হোসেন (৪৭), নৈশ প্রহরী জাহিদুল হাসান (৩০), মিল্লাত মিয়া (৩৫) ও পরিচ্ছন্নকর্মী রায়হান আলী (২৬)।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল আমিন। অভিযান পরিচালনা করেন র্যাব ২-এর উপ-অধিনায়ক মেজর সৈয়দ মো. সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ।
র্যাব ২-এর অপারেশন অফিসার মারুফ আহমেদ জানান, দুপুর ১২টার দিকে পঙ্গু হাসপাতালের সামনে থেকে প্রতারক চক্রের ১৬ সদস্যসহ চার কর্মীকে আটক করা হয়। তারা মূলত আগত রোগীদের কম টাকায় চিকিৎসা করার প্রলোভন দেখিয়ে দালালদের এজেন্টভুক্ত ক্লিনিকে নিয়ে যায়। পরে আদালত নারায়ণ চন্দ্র (৩৭), শাহ আলম (৬০), রিপন মিয়া (২৮), হোসেন আলী (২৮), মিন্টু মিয়া (৩৪), দুলাল মিয়া (৪৫), মানিক মিয়া (৩৮), আওয়াল (৫২), মোরশেদ (২৮) নামে নয় জনকে এক মাসের কারদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা প্রদান করেন। এ ছাড়া দুলাল হোসেন (৫৫), মাহাবুব আলম সুমন (৩০), বিপ্লব জোয়ারদার (৩০), সিদ্দিকুর রহমান (৫৬), শরিফ হোসেন (২০), আবু বক্কর(৪৫) ও কামাল হোসেন (৪৫) নামের সাতজনকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা দণ্ড দেন আদালত।