মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করেছেন তার পরিবারের ৮ সদস্য।
তারা হলেন স্ত্রী নূর নাহার, মেয়ে আতিকা নূর, ছেলের বউ শামীম আরা, ভাতিজি রোকসানা জেবিন, আফরোজা জেবিন, শ্যালক আবুল কালাম আজাদ, ভাগিনা সানোয়ার হোসেন।
শনিবার বেলা ১০টা ৪০ মিনিটে তারা কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা কারাগার থেকে বেরিয়ে যান।
তবে বের হয়ে তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। তারা আইনজীবীরা আজ এ ব্যাপারে ব্রিফ করবেন বলে জানা গেছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা-নির্যাতনের অভিযোগে গত ৯ মে দোষী সাব্যস্ত করে কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
তার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ৭টি অভিযোগের মধ্যে ৫টিই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া বাকি দুটি অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেয়া হয়।
পরে ওই বছরের ৬ জুন ট্রাইব্যুনাল-২ এর দেয়া ফাঁসির আদেশ থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেন কামারুজ্জামান। শুনানি ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পর ওই বছরের ৩ নভ্ম্বের কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন আপিল বিভাগ।
২০১০ সালের ১৩ জুলাই কামারুজ্জামানকে হাইকোর্ট এলাকা থেকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। একই বছর ২ আগস্ট তাকে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।