ভোলার মনপুরা থেকে চরমোনাইগামী একটি লঞ্চ ডুবি ঘটনায় অন্তত ৫ জন নিখোঁজ হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো ১৫জন যাত্রী। লঞ্চটিতে প্রায় ৩শতাধিক যাত্রী ছিল বলে জানা গেছে।
সোমবার রাতে মনপুরা থেকে চরমোনাই মাহফিলের উদ্দেশ্যে লঞ্চটি রওনা হলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কার্গোর ধাক্কায় লঞ্চটি চরমোনাইয়ের মাহফিলস্থলের নিকটে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে বলে জানা গেছে।
আহতদের মধ্যে- জাফর, শাহে আলম, নেছার, আলাউদ্দিন, আজাদ, কাওসার, জামাল, জহির, মনির, ছালাহ উদ্দিন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চ যাত্রী সাকুচিয়া এলাকার জাফর মুঠোফোনে জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের জনতাবাজার ঘাট থেকে একটি লঞ্চ যাত্রা শুরু করে। লঞ্চের যাত্রীরা মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চরমোনাই অনুষ্ঠিতব্য মাহফিলে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।
লঞ্চটি রাত ৮টায় চরমোনাইয়ের মাহফিল স্থলের কাছে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কার্গো ধাক্কা দিলে যাত্রীবাহী ওই লঞ্চটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। কার্গোর ধাক্কায় লঞ্চটির ৩০ যাত্রী নদীতে পড়ে যায়। নদীতে পড়ে যাওয়া যাত্রীদের মধ্যে ৫ যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ১৫ যাত্রী আহত হয়েছেন। ওই লঞ্চে মনপুরা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং মনপুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ্জ নজির আহমেদ মিয়াও ছিলেন বলেও জানা গেছে।
এ ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এর দায়িত্বে থাকা এসআই মো. আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি লঞ্চটি দুর্ঘটনা কবলিত হওয়ার খবর শুনেছেন বলে জানান।