হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেছেন, চলমান রাজনৈতিক সংকট থেকে জনসাধারণ ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের মনোযোগ ভিন্ন দিকে ফেরানোর কৌশল হিসেবে নতুন করে জঙ্গীবাদের নাটক তৈরি করা হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রছায়ায় মাদ্রাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরুর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, নতুন করে জঙ্গীবাদের প্রচারণা রাজনৈতিক সংকট থেকে দৃষ্টি ঘুরানোর কৌশল হতে পারে। গত কয়েক দিন ধরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে বিভিন্ন মাদ্রাসায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে যুদ্ধক্ষেত্রের মতো আতঙ্ক তৈরী করে অভিযান পরিচালনা করছে বলে শোনা যাচ্ছে। এসব অভিযানে ঢালাওভাবে নিরীহ মাদ্রাসা ছাত্র ও আলেমদেরকে গ্রেফতার করে তাদের কাছে থাকা পবিত্র কুরআন-হাদীস ও ইসলামী বই-পুস্তককে জঙ্গীবাদী বই হিসেবে উপস্থাপন করে মারাত্মকভাবে ইসলাম অবমাননা করা হচ্ছে। এটা খুবই উদ্বেগজনক।
তিনি বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যানারে যেসব কলেজ-ইউনিভার্সিটির আবাসিক হলে প্রকাশ্যে খুনাখুনি, অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজি ও মদ-গাঁজার আসর চলে থাকে, সেখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যদি এমন জোরদার অভিযান চালাতো, হত্যাকা-, সন্ত্রাস, ধর্ষণ-নারী নির্যাতনসহ মারাত্মক অপরাধসমূহ বহুলাংশে কমে যেত। হেফাজত আমীর নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে অপরাধ দমনে কাজ করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
গতকাল হেফাজতে ইসলামের কার্যালয়ে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির এক বৈঠকে আল্লামা শাহ আহমদ শফী উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। হেফাজত আমীরের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, মাওলানা সালাহ উদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা লোকমান হাকিম, মাওলানা সলিম উল্লাহ, মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেপুরী, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা মুঈনুদ্দীন রুহী, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, কাতেব ইলিয়াস ওসমানী, মাওলানা ফোরকান আহমদ, আশরাফ আলী নিজামপুরী, মাওলানা মুনির আহমদ, আইয়ুব বাবুনগরী, মাওলানা মীর মুহাম্মদ ইদরিস, মাওলানা শফিউল আলম প্রমুখ।