আন্দোলনের নামে সহিংসতার প্রতিবাদে জয়পুরহাটে ১৪ দলের সমাবেশে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে জেলা মহিলা লীগের সভানেত্রী রেবেকা সুলতানাসহ ১৯ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপির কার্যালয় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।
রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদ চত্বরের মুক্তমঞ্চে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রেবেকা সুলতানা, সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আসমা বেগম, জয়পুরহাট পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও খঞ্জনপুর এলাকার বাসিন্দা হামিদুল, ১ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদিকা নাজমা বেগম, ৯ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা লীগের সভানেত্রী সালমা বেগম, বম্বু ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য মোসদুল, আওয়ামী লীগ কর্মী শহরের শেখ পাড়ার মজনু, তেঘর চারমাথার মজিবর রহমান, ধলাহারের মুক্তিযোদ্ধা মোত্তালেব হোসেন,পারুলিয়ার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ, মতিন সিংহ, আক্কেলপুর উপজেলার চেয়ারী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান ও ফরিদ হোসেন, সদর উপজেলার খাস পাহনন্দার বাবুল হোসেন ও হাবিল উদ্দিন, বানিয়াপাড়ার মোসাদ্দের আলী, ভাদসার তফিজ উদ্দিন, শহরের নতুন হাট এলাকার সাগর হোসেন, চিনিকল এলাকার মিঠুন ও জয়পুরহাট পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক সাগর।
এদের মধ্যে মজনু, মজিবর, তফিজ উদ্দিন, বাবলু হোসেন, ফরিদ উদ্দিন ও মোসাদ্দেলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বগুড়ার শহীদ জিয়া মেডিকলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সাইদুর রহমান বাংলামেইলকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্দোলনের নামে সহিংসতার প্রতিবাদে বিকেলে একটি শান্তি মিছিল বের করে জেলা ১৪ দল। মিছিল শেষে জেলা ১৪ দলের সমন্বয়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা পরিষদের প্রশাসক এস এম সোলায়মান আলীর সভাপতিত্বে শহরের মুক্তমঞ্চে আয়োজিত সমাবেশে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এ সময় সমাবেশস্থলে পর পর দু’টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে জেলা মহিলা লীগের সভানেত্রী রেবেকা সুলতানাসহ ১৯ জন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন বাংলামেইলকে জানান, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে ককটেল হামলা চালিয়ে তাদের হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সাহসী নেতাকর্মীরা তা প্রতিহত করেছে মাত্র। বিএিনপি নেতাকর্মীরা নিজেরাই তাদের কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। যে কোনো মূল্যে এই অপশক্তিদের দেশ থেকে উৎক্ষাত করা হবে।
জয়পুরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আমজাদ হোসেন বাংলামেইলকে জানান, হামলায় তাদের তিন মুক্তিযোদ্ধা আহত হয়েছেন। তাদের জয়পুরহাট চিনিকল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার আবু কালাম সিদ্দিক সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।