বিএনপির ডাকা হরতাল অবরোধে অব্যাহত সহিংসতার বলি হল আরো একজন। তার নাম বাপ্পী হোসেন (২৮)। দুর্বৃত্তদের ছোঁড়া পেট্রল বোমায় দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ১০দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে রোববার সকালে মারা যান তিনি। এ নিয়ে বার্ন ইউনিটে পেট্রলবোমায় দগ্ধ হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১২ জনে।
বাপ্পীর পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, গত ১২ ফেব্রুয়ারি রামপুরা বনশ্রী এলাকা আলিফ পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাসে দূর্বৃত্তরা পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করলে ওই বাসের হেলপার বাপ্পী হোসেনসহ তিনজন দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ওইদিন রাতেই ঢামেক হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয় বাপ্পীকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকাল সাড়ে ৭টায় তিনি মারা যান।
ডাক্তাররা জানিয়েছেন, আগুনে বাপ্পীর দেহের ৭০ভাগ এবং শ্বাসনালি পুড়ে যায়।
২ মেয়ের জনক বাপ্পীর গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণার মোহনগঞ্জের রামপুরে। তার বাবার নাম দুলাল মিয়া। ঢাকায় তিনি দিয়াবাড়ির বেড়িবাঁধ এলাকায় থাকতেন।
ময়না তদন্তের জন্য তার লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।