পেনসিলভেনিয়া থেকে এনা : ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত এবং ভোটারবিহীন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫৪ জন নয়, ২০৯ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের নেতৃত্বে যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছিলেন নির্বাচন কমিশন সরকারের নির্দেশে তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেনি। সেই হিসাবে ১৫৪ জন নয়, ২০৯ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন। গত ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় পেনসিলভেনিয়া বিএনপি আয়োজিত আরাফাত রহমান কোকোর ইন্তেকাল উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিল এবং শেখ হাসিনার অবৈধ সরকারের দুঃশাসনের প্রতিবাদ সভায় বিএনপির সহসভাপতি ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা এ কথা বলেন। পেনসিলভেনিয়ার একটি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই সভায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ওসমান ফারুক বলেছেন, শেখ হাসিনার মত এমন স্বৈরাচার পৃথিবীর কোনো দেশে আজ পর্যন্ত আসেনি। তার নিষ্ঠুরতা ইয়াজিদ এবং সীমারকেও ছাড়িয়ে গেছে। খালেদা জিয়ার ফরেস অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য সচিব মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেছেন, বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে এই আন্দোলনে অচিরেই শেখ হাসিনা সরকারের পতন হবে।
পেনসিলভেনিয়া বিএনপির সভাপতি শাহ ফরিদের সভাপতিত্বে এবং বিএনপি নেতা এমএ কালাম শরিফ ও নাজিম আহমেদ জুয়েলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ডা. মজিবুর রহমান মজুমদার, বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিল্টন ভুইয়া, আব্দুস সবুর, এবাদ চৌধুরী, আতিকুল হক আহাদ, পারভেজ সাজ্জাদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শহীদুল ইসলাম, এস আলম মিন্টু, কাজী মতিউর রহমান, আব্দুর রহমান শাহীন, মাহবুবুর রহমান, নিউজার্সি বিএনপি নেতা মোহাম্মদ কাওসার প্রমুখ।
সাদেক হোসেন খোকা বলেন, যে স্বপ্ন নিয়ে আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম আমাদের সেই স্বপ্ন এবং চেতনা ধ্বংস করে দিয়েছে অবৈধ শেখ হাসিনার সরকার। শেখ হাসিনা জানতেন সুষ্ঠু নির্বচন হলে তার দল কত আসনে জয়ী হতো। সে কারণেই তিনি দলীয় বিচারপতি খায়রুল হকের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করেছে।
ওসমান ফারুক বলেন, আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু প্রমাণ করেছে বিএনপি বাংলাদেশে কত জনপ্রিয় দল। কোকোর জানাজায় যত মানুষ হয়েছে, আজকে যারা বড় বড় কথা তাদের জানাযায় এত মানুষ হবে না- এটা আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি।
অনুষ্ঠানে আরাফাত রহমান কোকোর রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা কাজী ইলিয়াস আলী। কোরআন তেলওয়াত করেন মাওলানা মাঈন উদ্দিন।