পেট্রলবোমায় যারা মানুষ পুড়িয়ে মারছে, আমরাও তাদের পুড়িয়ে মারবো’

0
867
Print Friendly, PDF & Email

খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি এসএম মনির-উজ-জামান বলেছেন, ‘যে সকল কুলাঙ্গারের বাচ্চারা রাতের আঁধারে পেট্রলবোমা মেরে নিরীহ মানুষদের পুড়িয়ে মারছে। আমরা তাদেরকেও একই ভাবে পুড়িয়ে মারবো। দু-পাঁচটা ছারপোকাকে আমরা টিপে মেরে ফেললে কোনো ক্ষতি হবে না’।

বুধবার রাতে জীবননগর উপজেলা শহরের বাসস্ট্যান্ডে অনুষ্ঠিত উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম আয়োজিত অপরাধ প্রতিরোধ পথ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, যারা হরতাল অবরোধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে এবং পেট্রলবোমা মেরে নিরীহ মানুষদের পুড়িয়ে মেরে হত্যা করছে তাদের কিভাবে শায়েস্তা করতে হয় তা আমাদের জানা আছে। তাদেরকে মনে রাখতে হবে এটা ৭১-৭৫ সাল নয়, এখন চলছে ২০১৫ সাল। জনগণ ও রাষ্ট্রের ক্ষমতা এক হলে কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবেনা।

তিনি বলেন, নির্বাচন না হলে বাংলাদেশ পাকিস্তান অথবা তালেবানী রাষ্ট্রে পরিণত হতো। বঙ্গবন্ধুর কন্যা যখন তার সুখ, দুঃখ, আনন্দ ভুলে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন তখন আলবদর, রাজাকার ও জঙ্গিরা এ দেশটাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। আমরা তা হতে দিতে পারিনা।

ডিআইজি বলেন, আমরা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে খালি হাতে যুদ্ধ করে এদেশ স্বাধীন করেছি। এখনও সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ করে এই জঙ্গিদের আমরা দমন করবো।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যার ডাকে সাড়া দিয়ে আপনারা পাড়ায়-পাড়ায়, মহল্লায়-মহল্লায় কমিটি গঠন করে নাশকতাকারীদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরিয়ে দিন। তাদের ছোড়া পেট্রলবোমায় পুড়ে নিরীহ মানুষ যখন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের বিছানায় কাতরাচ্ছে তখন তাদের নেতারা গুলশান-বারিধারায় আয়েশী জীবন যাপন করছে। এটা আমরা হতে দেবো না।

উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর, খুলনা র‌্যাব-৬ অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ সুমন, অতিরিক্ত ডিআইজি দিদার আহমেদ ও রফিকুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা- ৬ বিজিবি’র পরিচালক লে.কর্নেল এসএম মনিরুজ্জামান, ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান ও পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকারিয়া আলম।

শেয়ার করুন