বিএনপি জোটের হরতাল-অবরোধের মধ্যে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের স্থানীয় এক নেতাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার গভীর রাতে নিহত আব্দুল হামিদ প্রধান হিরু মিয়া (৩৫) যুবলীগের উপজেলা কমিটির সদস্য ছিলেন। গোবিন্দগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের সাবেক এজিএস ছিলেন তিনি। তার বাড়ি সাপমারা ইউনিয়নের কৌচা কৃষ্ণপুর গ্রামের ভেলামারা পাড়ায়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি এবিএম জাহিদুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে সাপমারা গ্রামের একটি সরিষা ক্ষেত থেকে হামিদের লাশ উদ্ধার হয়।
“নিহতের গলার নিচে, চোখে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়।”
বুধবার রাতে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে মোটর সাইকেলে করে বাড়ির পথে রওনা হওয়ার পর থেকেই তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না বলে পুলিশকে জানিয়েছেন স্বজনরা।
ওসি জাহিদুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সকাল ১০টার দিকে স্বজনরা থানায় এসে লাশ শনাক্ত করে। তবে নিহতের মোটর সাইকেলটির কোনো সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম রকেট বলেছেন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হামিদ যুবলীগে সক্রিয় ছিলেন।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।