বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, সরকারের টার্গেট হচ্ছে খালেদা জিয়া ও তার দলকে নিশ্চিহ্ন করা। শুধু প্রতিহিংসার কারণে সাবেক সেনাবাহিনীর প্রধান জিয়াউর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকো’র লাশ বনানী সামরিক কবরস্থানে দাফন করতে দিলেন না সরকার প্রধান। এমনকি কোকো’র জানাজায় যাতে লোক সমাগম বেশি না হয় সেজন্য বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা, স্কুল, কুলেজ, মাদ্রাসাসহ ২০ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দকে সরকারের গোয়েন্দা বাহিনী হুমকি দিয়েছে। বিবৃতিতে রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বিভিন্ন মামলা দায়েরের পাশাপাশি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে তাকে হুকুমের আসামি করা ষড়যন্ত্রমূলক। ভোটারবিহীন গণবিরোধী সরকারের টিকে থাকার ভিত্তি হচ্ছে উৎপীড়ণ আর নির্দয় জুলুম। সেইজন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে কব্জা করে নিজেদের সর্বনাশা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। সারাদেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে আটক ও মিথ্যা মামলা দেয়ার পরও তাদের জিঘাংসা প্রশমিত করতে পারছে না। গুম আর গুপ্তহত্যার হিড়িকে দেশজুড়ে কান্নার রোল উঠলেও সরকারের ক্রোধ যেন মিটছে না। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে গুলি করার নির্দেশ দিয়ে তাদেরকে নানা ধরনের অনাচার ও অবাধ হত্যা বাণিজ্যে লিপ্ত করা হয়েছে। ফলে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরাই এখন সবচেয়ে বেশি র্যাব-পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজি, ভাড়ায় সিরিজ হত্যা, গ্রেফতার বাণিজ্য, টাকা না পেয়ে ক্রসফায়ারের নামে খুন এবং পায়ে গুলি খেয়ে পঙ্গুত্বের শিকার হচ্ছে। নিপীড়ক সরকারের টার্গেট হচ্ছে, এদেশের জনগণের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার দলকে নিশ্চিহ্ন করা। সেই লক্ষ্যেই ক্ষমতাধররা একের পর এক সিরিজ মামলা দিয়ে যাচ্ছে বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে।