ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের ফজলুল হলে পুলিশের কাজে বাধা, জোরপূর্বক আসামিকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ছাত্রলীগের তিন শতাধিক অজ্ঞাতনামা নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। যাদের নামে মামলা করা হয়েছে তারা সবাই একই হলের ছাত্র বলে জানা গেছে। রোববার দুপুরে শাহবাগ থানার এসআই আনারুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এসআই আনারুল ইসলাম বিষয়টি বাংলামেইলকে নিশ্চিত করেছেন। মামলার আগের দিন গত শনিবার রাতে ফজলুল হক হলের দু’টি রুম তল্লাশি করে ১৩৩ ক্যান বিয়ারসহ ওই হলের ছাত্র ফাজাইল ইবনে বাশার (পরিসংখ্যান বিভাগ), রাশেদ মাহমুদ (পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ) ও সাইফুল ইসলাম টুটুল (ফলিত রসায়ন)কে আটক করে পুলিশ। ওই তিন ছাত্রলীগ কর্মীকে নিয়ে হল থেকে পুলিশ বের হতে চাইলে হল শাখা ছাত্রলীগের কয়েকশ’ নেতাকর্মী পুলিশকে অবরুদ্ধ করে ফেলে। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে তাদের তিনজনের মধ্যে দুই জনকে হাতকড়াসহ জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে তাদের পালাতে সহায়তা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় ছাত্রলীগের কর্মী ফাজাইল ইবনে বাশার (পরিসংখ্যান বিভাগ)কে আটক করে পুলিশ। আর এখনো পলাতক রয়েছেন হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ (পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ) ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম টুটুল (ফলিত রসায়ন)। এছাড়া পুলিশের কাজে বাধা দেয়ায় ওই হলের তিন ছাত্রলীগ কর্মী মাহমুদ, টুটুল ও মিল্টনের নাম উল্লেখ করে প্রায় চারশ’ অজ্ঞাতনামা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন শাহবাগ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনারুল ইসলাম। মামলা নম্বর-৩৯। উল্লেখ্য,শনিবার রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হলের ৩১৯ নম্বর রুমে ৮/১০ জনকে সাউন্ড বক্সে গান ছেড়ে বিয়ার খেতে দেখা গেছে। রোববার সকালে ওই রুমের সামনে ময়লার ঝুড়িতে বিয়ারের খালি কেইসসহ ২৫-৩০টি খালি ক্যান দেখা যায়। সন্ধ্যায় হলের প্রভোস্টের কাছে সাংবাদিকরা ও হলের শিক্ষার্থীরা বিষয়টি বললে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান। পরে রাতে হলের কর্মচারীরা ওই খালি ক্যানগুলো সরিয়ে নেন। এ ঘটনার সূত্র ধরে ফজলুল হক হলে তল্লাশি চালায় পুলিশ।