এক বাংলাদেশিকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করে অচেতন অবস্থায় পাটগ্রাম সীমান্তে ফেলে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আহত ওই ব্যক্তির নাম জামাল হোসেন (৩৫)। তিনি নড়াইল জেলার মুলাশ্রী গ্রামের হেদায়েত হোসেনের ছেলে। বৃহস্পতিবার সকালে জামাল হোসেন মারাত্মক জখম অবস্থায় সীমন্তে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা বুড়িমারী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) খবর দেয়। পরে বিজিবি সদস্যরা পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে পাটগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করে। বিজিবি ও সীমান্ত সূত্র জানায়, ভারতীয় ৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চ্যাংরাবান্ধা ক্যাম্পের সদস্যরা নড়াইল জেলার মুলাশ্রী গ্রামের হেদায়েত হোসেনের ছেলে জামাল হোসেনকে সীমান্তে ধরে বেধড়ক পিটিয়ে মাথা, বুক, পিঠ, হাত-পা জখম করে মারাত্মক আহত ও অজ্ঞান অবস্থায় পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী মাস্টারপাড়া সীমান্তের ৮৪৩ নম্বর মেইন পিলারের কাছে ফেলে দেয়। স্থানীয় লোকজন তাকে পড়ে থাকতে দেখে বৃহস্পতিবার সকালে বুড়িমারী বিজিবিকে খবর দেয়। পরে বিজিবি আহত অব্স্থায় তাকে উদ্ধার করে পাটগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করে। বিজিবির একটি সূত্র জানায়, উদ্ধার হওয়া জামাল হোসেন দীর্ঘদিন ভারতে বসবাস করে শ্রমিকের কাজ করছিলেন। পাটগ্রাম সীমান্ত হয়ে দেশে ফেরার পথে বিএসএফের হাতে ধরা পরায় বিএসএফ তাকে পিটিয়ে আহতাবস্থায় বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ফেলে দেয়। এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আহম্মেদ বজলুর রহমান হায়াতী আহত বাংলাদেশিকে উদ্ধারের সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, ভারতীয় ৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার বিএসএফের হাতে আহতের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। ঘটনা তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।