পুলিশের ওপর হামলা মামলায় আসামি ৭০৯

0
432
Print Friendly, PDF & Email

সরকারি কাজে বাধা, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি ও সহিসংতার ঘটনায় ৭০৯ জন নেতাকর্মীর নামে বিস্ফোরক আইনে ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মামুন আল রশিদ ও কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক খন্দকার শাকের আহমেদ বাদী হয়ে এ মামলা দুটি দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় ২০ দলীয় ঐক্য জোটের কালো পতাকা মিছিল ও সমাবেশ থেকে ফেরার পথে শহরের গঙ্গাদাস সড়কে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং জিলা স্কুল মোড়ে অটোরিকশায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপে গাড়ি চালক ও পুলিশসহ অনন্ত ১০জন আহত হয়। এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মামুন আল রশিদ বাদী হয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রোকনুজ্জামান সরকার রোকন, সাধারণ সম্পাদক সুজা-উ-দ্দৌলা সুজা, যুবদলের সভাপতি শামীম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাসুদ, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এনামুল হক লিকট আকন্দ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শহিদুল আমীন খসরু, শহর জামায়াতের আমির মোজ্জামেল হক ও ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুক্তাসহ ৩১জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫শ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করেন। সরকারি কাজে বাধা, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি ও সহিসংতার অভিযোগে কোতোয়ালি মডেল থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা (নং-১৭(১)১৫) দায়ের করা হয়। অন্যদিকে কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক খন্দকার শাকের আহমেদ বাদী হয়ে ২০ দলীয় ঐক্য জোটের ২৮ নেতার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৫০জনের নামে (১৪৭/১৪৮/১৪৯/১৮৬/ ৩২৬/ ৬০৭/ ৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/ ৪৩৫/৩৪ ধারায়) একটি মামলা নং-১৮(১)১৫ দায়ের করেন। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু মোহাম্মদ ফজলুল করিম জানান, দুটি মামলায় পুলিশ ৬ জনকে ও নাশকতার অভিযোগে আরো ৭জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

শেয়ার করুন