সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়লে মূল্যস্ফীতি বাড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী। আজ রোববার সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামোর সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় বেতন ও চাকরি কমিশন। এর পরপরই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এই মন্তব্য করেন। কমিশনের চেয়ারম্যান বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন সব সদস্যকে নিয়ে আজ রোববার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদন জমা দেন। এতে সর্বনিম্ন ৮ হাজার ২০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৮০ হাজার টাকা মূল বেতনের সুপারিশ করা হয়। বর্তমানে ১৪ লাখ সরকারি চাকরিজীবী রয়েছেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ পর্যন্ত যা শুনলাম, মনে হয় ভালোই হবে প্রতিবেদনটি। মাত্র তো পেলাম। আমরা এখন এটি পর্যালোচনা করব। মোটাদাগে কিছু বিষয় ঠিক করে (ব্রড গাইডলাইন) বাস্তবায়ন করব পর্যায়ক্রমে। আমাদের ইচ্ছেটা হলো আগামী বছরের ১ জুলাই থেকে প্রতিবেদনের সুপারিশ কার্যকর করা।’ সুপারিশ বাস্তবায়নের অর্থ কোথা থেকে আসবে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাস্তবায়নের জন্য আমরা বাজেটেই বরাদ্দ রেখেছি। চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।’ এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২৮ বছরে বাজেটের আকার যতটুকু বেড়েছে, ঠিক ততটুকু বেড়েছে গত পাঁচ বছরেই। সুতরাং সরকারের হাতে অর্থ আছে। মূল্যস্ফীতি বাড়বে কি না, জানতে চাইলে মুহিত বলেন, ‘না। কোনোভাবেই না (নো, অ্যাবসোলিউটলি নো)।’ এ সময় অর্থসচিব মাহবুব আহমেদকে বিষয়টি সাংবাদিকদের বুঝিয়ে বলতে বলেন অর্থমন্ত্রী। সচিব বলেন, সুপারিশ বাস্তবায়ন করলে মূল্যস্ফীতির কোনো সম্ভাবনা নেই। এমনকি এই সুপারিশ আগে বাস্তবায়ন করলেও কোনো সমস্যা ছিল না। আগামী দিনের অর্থনীতি হবে আলাদা ধরনের অর্থনীতি—এমন মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সেই অর্থনীতির জন্য দরকার একটি আলাদা ধরনের প্রশাসন, একটি সেটিসফাইড (সন্তুষ্ট) প্রশাসন। আমরা সেভাবেই এগোচ্ছি।’