৭১-এ দেশ মাতৃকার টানে জীবন বাজি রেখে একটি লাল সবুজের পতাকা উপহার দিয়েছিলেন বীরপ্রতীক বীরঙ্গনা কাঁকন বিবি। সেই বীরপ্রতীক আজ স্বাধীন দেশে স্বাধীনতার মাসে রয়েছেন চরম নিরাপত্তাহীনতায়। সরকারের খেতাব ভূষিত কাঁকন বিবি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের ঝিরারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। একটি প্রভাবশালী চক্রের দেয়া প্রাণনাশের হুমকিতে আজ তার মেয়েকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় দিনযাপন করছেন বাংলার সেই অহঙ্কারী নারী। এখানেই শেষ নয়, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকিও দিয়েছে ওই চক্রটি। নিরুপায় হয়ে সর্বহারা কাঁকন বিবি গত ২১ নভেম্বর দোয়ারাবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং-৭৯৮) দায়ের করেন। এরআগে, গত ১৫ নভেম্বর সিলেট বিভাগীয় ডিআইজি বরাবরে গণস্বাক্ষর সম্বলিত একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়। এনিয়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ এলাকাবাসী হুমকীদাতাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ করার পরেও অভিযোগ উঠেছে এলাকায় বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে হুমকিদারা। জিডিতে উল্লেখ করা হয়, একই ইউনিয়নের সুড়িগাঁও গ্রামের মৃত রাশেদ আলীর ছেলে খুরশিদ আলম ভূঁইয়া (প্রকাশ খুরশিদ মোল্লা) উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সফর আলীসহ অন্য এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রাণী করায় প্রতিবাদী হয়ে উঠেন ৭১-এর সেই বীরঙ্গনা বীরপ্রতীক কাঁকন বিবি। খুরশিদ মোল্লার ছেলে জালাল আহমদ সজিবসহ তার লোকজন রাতের আধাঁরে কাকন বিবির বসতঘরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে কাকন বিবির মেয়েসহ তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। লক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল হক বলেন, খুরশিদ মোল্লার দায়েরকৃত অব্যাহত মামলা-মোকদ্দমায় এলাকার অনেক নিরীহ মানুষ অতিষ্ঠ। প্রতিবাদ করলেই ঠুকে দেয়া হয় মামলা। দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম নেওয়াজ শীর্ষ নিউজকে বলেন, জিডি দায়েরের পরই আমরা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিজ্ঞ আদালতে আবেদন প্রেরণ করেছি। আদালতের নির্দেশ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।