পরীক্ষায় অংশ নিলেই ভর্তির সুযোগ দিতে হবে—এমন আবদারের পর এখন এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি-প্রক্রিয়া সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করার দাবি তুলেছে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন। আজ রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোর সংগঠন এই দাবি তোলে। এ বছর এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তির ক্ষেত্রে পাস নম্বর ধরা হয়েছে ৪০। সংগঠনটি এই নম্বর ২০-এ নামিয়ে আনার দাবি করছে। সংগঠনের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গতকাল পর্যন্ত বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোয় এক হাজার ২১৭ জন ভর্তি হয়েছেন। দেশের ৬৩টি বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে আসনসংখ্যা ছয় হাজার ৬০৫টি। পাস নম্বর না কমালে আসনগুলো শূন্য পড়ে থাকবে। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বেসরকারি মেডিকেল কলেজের নিজস্ব উদ্যোগে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি প্রদান করতে হবে, যা পূর্বে চালু ছিল।’ সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা একাধিকবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি ক্ষোভ ঝাড়েন। তাঁরা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রেসক্রিপশনে’ পাস নম্বর ৪০ করা হয়েছে। এমনকি সংগঠনের উপদেষ্টা সাবেক সাংসদ মকবুল হোসেন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের কথা ‘খুব একটা শোনে-টোনে না, জবাবদিহি করে না।’ তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় নটর ডেম, হলিক্রস, রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ছাত্ররা অংশ নিলেও মাত্র দুজন ইংরেজিতে পাস করেছেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নম্বর কমাতে বাধ্য হয়েছে। ১৮ পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। ইংরেজি বিষয়ে ২৫ নম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীরা ১৮ নম্বর পেয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। ১০০তে ১৮ নয়—এ কথাটি সাংবাদিকেরা বারবার বললেও তাঁকে থামানো যাচ্ছিল না। তিনি উল্টো বলতে থাকেন, ‘ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের অ্যালজেব্রা, জিওমেট্রি পরীক্ষা দিতে হয়েছে। ক্যালকুলেটর ও জ্যামিতি বক্স ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি।