এবার টঙ্গী মডেল থানায় এক ব্যবসায়ীকে চোখ বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের শিকার ওই ব্যবসায়ীর নাম মির্জা মাহবুব। বৃহস্পতিবার টঙ্গী বাজারের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে তুলে নিয়ে তাকে চোখ বেঁধে নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনায় বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
টঙ্গী বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, অন্ধকার জগতের একজন মহিলা গত দুই মাস আগে টঙ্গী বাজারের মির্জা কনফেকশনারীর স্বত্বাধিকারী মির্জা মাহবুবু ও তার ভাই মির্জা আছেমের কাছে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদেরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোসহ বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় মির্জা আছেম টঙ্গী মডেল থানায় গত ১৫ জুলাই একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
বৃহস্পতিবার টঙ্গী মডেল থানার এসআই সাজেদা লতা অভিযোগ তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে যান। এসময় ব্যবসায়ীরা অন্ধকার জগতের ওই মহিলার শেল্টারদাতা হিসেবে টঙ্গী থানার এএসআই মিজানের নাম উল্লেখ করেন। এই খবর পেয়ে এএসআই মিজান ক্ষুব্দ হয়ে বিশেষ ডিউটিরত এএসআই জালালকে নিয়ে টঙ্গী বাজারের ওই দোকানে গিয়ে ব্যবসায়ীদের ওপর চড়াও হন। এসময় তারা মির্জা কনফেকশনারীর স্বত্বধিকারী মির্জা মাহবুবু ও তার ভাই মির্জা আছেমকে দোকানে ফেলে মারধর করেন এবং মির্জা মাহবুবকে জনসম্মুখে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করতে উদ্যত হন। পরে মির্জা মাহবুবকে ধরে থানায় নিয়ে যান। সেখানে চোখ বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয় তাকে। এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে থেতলে যায়।
এ ঘটনায় টঙ্গী বাজারের ব্যবসায়ীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদের মুখে মির্জা মাহবুবকে পরে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে যান।
এ ব্যাপারে টঙ্গী থানার এএসআই মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমনটি হয়েছে। আমি ওই মহিলাকে চিনি না।’
এসআই সাজেদা লতা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি ওই মহিলাকে খারাপ হিসেবে জানি। ওই মহিলার পক্ষ নেওয়ার প্রশ্নই উঠে না।
ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনায় তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় আমি হতভম্ব। এএসআই মিজান দোকানে যাওয়ার পর তার গায়ে হাত না দিলে ঘটনা এতো দূর এগোতো না।’
উল্লেখ্য,গত ১৪ মে দৈনিক নয়া দিগন্তে প্রকাশিত টঙ্গীর মাদক ব্যবসায়ী ও মক্ষীরাণীদের নামের তালিকায় টঙ্গী বাজারের আলোচিত মহিলার নামও রয়েছে।