প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্য বিএনপি-জামায়াত ও জঙ্গিবাদী চক্র এখন ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা।
আজ শনিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ছাত্রলীগ আয়োজিত এক স্মরণসভায় বক্তারা এমন অভিযোগ করেন। ২০০০ সালের ১২ জুলাই চট্টগ্রাম শাহ আমানত সেতুর সংযোগ সড়কে প্রকাশ্যে আড়াআড়ি বাস রেখে মাইক্রোবাস আটকে গুলি চালিয়ে ছাত্রলীগের আটজন নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়। তাদের স্মরণে এই স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ছাত্রশিবিরকে দায়ী করে ছাত্রলীগ।
স্মরণসভায় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘তাদের (শিবির) এই সব ষড়যন্ত্রের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।’ তিনি বলেন, এই সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য হলো কূটনৈতিক সম্পর্কের মাধ্যমে দুইবার সমুদ্রসীমা বিজয়। এ সময় আওয়ামী লীগের এ নেতা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে অনুপ্রবেশকারীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।
ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাহাদুর বেপারী বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে এ ধরনের জঘন্য হত্যার রাজনীতি শুরু হয়েছিল ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০০০ সালের এই দিনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রত্যক্ষ মদদে শিবিরের সন্ত্রাসীরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল। এ ধরনের জঘন্য হত্যাকাণ্ড কেবল মাত্র বিএনপি-জামায়াতের পক্ষেই সম্ভব।’
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘প্রত্যেকটি হত্যাকাণ্ডের একটি উদ্দেশ্য থাকে। বিএনপি-জামায়াত চক্র বাংলাদেশকে তালেবানি রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে ২০০০ সালে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে তারা পূর্বের মতো আজও বাংলাদেশে জঙ্গি তত্পরতা চালিয়ে যাচ্ছে।’
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান বলেন, ‘সারা বাংলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রশিবির তত্কালীন সময়ে ধারাবাহিক অপরাজনীতি পরিচালিত করার জন্য পাঁয়তারা চালাচ্ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামের ছাত্রলীগের নেতৃত্বকে ধ্বংস করার জন্য সেদিন মেধাবী, পরিশ্রমী আটজন ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। শিবির সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবে সেদিন চট্টগ্রামের রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহজাদা মহিউদ্দিন প্রমুখ।