মূল শর্ত পূরণ না হওয়ায় জিএসপি ফেরত পেলো না বাংলাদেশ। অন্তত ২০১৪ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা ফিরে পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
জিএসপি পুনর্বহাল সংক্রান্ত কমিটি কর্তৃক বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকার ও শ্রমিক নিরাপত্তা উন্নয়নে গৃহীত সার্বিক পদক্ষেপ, সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের গতি ও সরকারের আন্তরিকতা পর্যালোচনা শেষে জিএসপি কমিটির পক্ষে গতকাল বিকেলে এমনটিই জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রী মাইকেল ফ্রোমেন বলেন, বাংলাদেশের শ্রমমান উন্নয়নে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি রয়েছে। তা স্বত্ত্বেও সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায় জিএসপি ফিরে পাওয়ার পূর্বশর্ত হিসেবে শ্রমিক অধিকার বাস্তবায়ন ও শ্রমিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ইতোপূর্বে যুক্তরাষ্ট্র প্রদত্ত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকার প্রতিশ্র“ত ল্যমাত্রার চেয়ে এখনো অনেক পিছিয়ে। এ বিষয়ে এখনো অনেক কিছু করার আছে। তাই বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা এখনই পুনর্বহাল না করার পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
এতে আরো বলা হয়, ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের পর এ ধরনের দুর্ঘটনা বন্ধে তৈরি পোশাক শিল্পসহ সব কারখানায় শ্রমিক সুরক্ষায় এ দেশের সরকার বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে। যার মধ্যে রয়েছে ১২০টির মতো নতুন শ্রমিক ইউনিয়ন গড়ে তোলা, কারখানা পরিদর্শনে নতুন চুক্তি ও পরিকল্পনা গ্রহণ, ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া ২০টি কারখানার উৎপাদন বন্ধ করা। এসব কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশ কিছুটা এগিয়ে গেলেও সার্বিকভাবে সন্তুষ্ট নয় ইউএসটিআর। জিএসপি ফিরে পেতে শ্রমিক অধিকার নিশ্চিতের তাগিদ দেয়া হয় প্রতিবেদনে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির মতে, অ্যাকশন প্ল্যানের মূল কিছু শর্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে, শ্রম আইন সংশোধন ও শ্রমিকের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধ, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কারখানাগুলোকে ঝুঁকিমুক্ত করা হয়নি, কারখানায় অতিরিক্ত পরিদর্শক নিয়োগ হয়নি, প্রতিনিয়ত শ্রমিক সহিংসতা হলেও সরকার এটিকে আমলে না নেয়ার কথাও বলা হয়। এমনকি ইপিজেডের শ্রমিক ইউনিয়নের অনুমতি না দেয়ার কারণেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এ প্রতিবেদনে।