গতকাল আমার লেখার শিরোনামে মেসি ছিলেন। এই বিশ্বকাপে লিওনেল মেসিকে নিয়ে হেডলাইন করেছি আরো দু’তিনবার। এসব দেখে আমার পাঠকদের কেউ কেউ কিছুটা অসন্তুষ্ট। তারা বলছিলেন, আপনার লেখায় মেসি ঘুরেফিরে চলে আসছে।
আমিও অপেক্ষায় ছিলাম ,দেখি মেসিকে শিরোনাম থেকে অ্যাভয়েড করা যায় কিনা। সুযোগটা এসেও গেছিলো গতরাতে। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে মেসির গোল আর চোখ-ঝলসানো পারফরম্যান্স ছাড়াই ম্যাচটা যখন ৯০ মিনিট শেষ হয়ে গেল, শেষ হলো অতিরিক্ত সময়ের ২৮ মিনিট… চোখের সামনে তখন ভাসতে শুরু করেছে মেসিবিহীন হেডলাইন! শুধু আমার লেখায় না, বিশ্বের সর্বত্র।
কিন্তু টাইব্রেকার নামের লটারিতে ম্যাচটা পৌঁছে যাওয়ার মাত্র মিনিট দুয়েক আগে কি সাংঘাতিক কাণ্ডই না করে বসলেন মেসি। আর্জেন্টিনা দল আর তার সমর্থকদের ব্লাডপ্রেসার যখন হাই হতে হতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম, ডি বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে হঠাৎ পাওয়া বলটা টেনে নিয়ে আসলেন তিনি। তারপর ড্রিবল করতে করতে দু’তিনজন সুইস ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ঢুকেও গেলেন ভিতরে। ততক্ষণে রাইট উইং এলাকায় ছুটে এসেছেন সাত নম্বর জার্সির অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। চোখের পলকে বাঁ পায়ে এমনভাবে পাস করলেন মেসি যে এ থেকে গোল না করার কোনো সুযোগই ছিলো না অ্যাঞ্জেলের। মোট কথা, গোলদাতার তালিকায় ডি মারিয়া’র নাম উঠলেও এই গোলের কারিগর মেসি’ই। তা না হলে ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরষ্কারটা মেসির না ডি মারিয়ার পাওয়ার কথা।
খেলা শেষ হওয়ার পর এই মন্তব্য ভেসে আসছে সব জায়গা থেকে- মেসি না থাকলে কি যে হতো আর্জেন্টিনার! যে খেলা খেলছে আর্জেন্টিনা!