জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমানের মানবতাবিরোধী মামলার রায়ের আগে রাজধানীতে নাশকতার আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ। এজন্য আগেভাগেই সব ধরনের কাজ গুটিয়ে দিনের আলোয় ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন নগরবাসী।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা ও সাবেক মন্ত্রী
মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর মামলার রায় আগামীকাল মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে।
এর আগে সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের একই ধরনের মামলার রায়ের পর নাশকতার তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে দেশবাসীর। এ কারণে সোমবার শত ব্যস্ততা সত্ত্বেও বেলা থাকতেই ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন রাজধানীবাসী।
সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন পেশার কর্মজীবী মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রায়কে কেন্দ্র করে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং পিকেটিংয়ের আশঙ্কা করছেন তারা।
হাসান সুমন নামে এক ট্রাভেল এজেন্সি কর্মী শীর্ষ নিউজকে জানান, ‘আজকে আগেভাগে বাসায় ফিরে যেতে হচ্ছে। কারণ সন্ধ্যা হলে যেকোনো ধরনের নাশকতা ঘটাতে পারে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এর আগের রায়গুলোর আগে তারা অনেক নাশকতা চালিয়েছে। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘কখন কোথা থেকে হামলা হয় তা বলা যাচ্ছে না। তাই দিনের আলোয় বাসায় ফিরছি। রায়ের পরও হয়তো কয়েকদিন এভাবেই আগেভাগে বাসায় ফিরতে হবে।’
নাশকতার আশঙ্কা করে কর্মজীবী নারী সালমা ইসলাম শীর্ষ নিউজকে জানান, ‘পরিবেশ শান্ত না হলে আগামীকাল থেকে দুই সন্তানকে স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দিবো। যেভাবে মানুষের ওপর বোমা ফেলা হয় তাতে বাইরে বের হওয়ার সাহস করবে না কেউ।’
তিনি আরো বলেন, ‘ ট্রাইব্যুনাল এর আগে সাঈদী, কাদের মোল্লা এবং গোলাম আযমসহ জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার পরই নাশকতা করেছিল জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এবার যে হবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।’
এদিকে কর্মব্যস্ত রাজধানীর আজকের বিকেলের চিত্র প্রতিদিনের চিত্রের সঙ্গে মিলছে না। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতে না আসতেই রাস্তায় প্রাইভেট যানবাহন চলাচল কমে আসছে। কর্মক্ষেত্র থেকে দ্রুত ঘরে ফিরছে মানুষ। সড়কে যানজটও কমে আসছে।