নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে অ্যাম্বুলেন্স ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ একই পরিবারের তিনজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন।
শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের জলঢাকা-রংপুর সড়কের ধরেয়ার বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা হয়। এসময় উত্তেজিত জনতা ওই সড়ক অবরোধ করে রাখে। অন্যদিকে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় শনিবার দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান, বেলা ১২টার দিকে দেবীগঞ্জ থেকে রংপুরগামী একটি প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা আশিক পরিবহনের একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই অ্যাম্বুলেন্সের যাত্রী আকবর আলী (৪৫), হাসপাতালে নেয়ার পথে তার চাচাতো ভাই মনোর আলী (৩৫) ও ভাতিজা অ্যাম্বুলেন্সের চালক আলম হোসেন (৩২) মারা যান।
এসময় নিহত মনোর আলীর স্ত্রী মাজেদা বেগম (৩৫), তার মেয়ে খাদিজা বেগম (১২) ছাড়াও আক্তার আলী (৪০) ও সোহেল (১৯) নামে আরো দুজন আত্মীয় গুরুতর আহত হন। আহতদের সবাই রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহত ও আহতদের সকলের বাড়ি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার দেবীডুবা ফার্ম গেট গ্রামে।
অ্যাম্বুলেন্স চালক আলম হোসেনের বড়ভাই জামাল উদ্দিন জানান, সকালে ছোট ভাই আলম হোসেন নিজের অ্যাম্বুলেন্সযোগে অসুস্থ চাচা আকবর আলী, চাচাতো ভাই মনোর আলী ও ভাতিজি খাদিজাকে রংপুরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের ধরেয়ার বাজার নামক স্থানে এলে বিপরীত থেকে আসা বাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের সোনাখুলি নামক স্থানে আজ শনিবার দুপুরে ট্রাক ও নছিমনের সংঘর্ষে একজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তি হলেন জমরউদ্দিন (৭৫)। তিনি ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের উত্তর ঝুনাগাছ চাপানি গ্রামের মৃত্যু পোষা সরকারের পুত্র।