গ্রামাঞ্চলের বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নে সহজ শর্তে ৬০ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্ব ব্যাংক। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যে এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন এবং বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি ক্রিস্টিন ই কাইমস চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। বিশ্ব ব্যাংকের এই অর্থ রুরাল ইলেকট্রিসিটি ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন প্রজেক্টে (টি এন্ড ডি) ব্যয় করা হবে। বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের পল্লী অঞ্চলে বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন এ প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য। এই এলাকার আড়াই কোটি গ্রামের মানুষ এ প্রকল্পের আওতায় সুবিধা পাবে। বিদ্যুতের সিস্টেম লস কমানো এ প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানান ক্রিস্টিন কাইমস। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চলের ৪২ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পায়। এক কোটি ৩০ লাখ পরিবার এখনো বিদ্যুৎ সুবিধাবঞ্চিত। বিদ্যুৎ যে কোন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখে। মানুষের আয়, খরচ এবং শিক্ষা- সব কিছুতেই ইতিবাচক ভূমিকা রাখে বিদ্যুৎ। বিশ্ব ব্যাংকের এ কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নে এ ঋণ-সহায়তা দিচ্ছে। ইআরডি সচিব মেজবাহ উদ্দিন বলেন, দেশের সব মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌচ্ছে দেয়া বর্তমান সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় এই প্রকল্প সরকারের সে লক্ষ্য পূরণে অনেকটা সহায়তা করবে। বিশ্ব ব্যাংকের এই ঋণের সুদের হার হচ্ছে দশমিক ৭৫ শতাংশ। ৪০ বছরে শোধ করতে হবে। প্রথম দশ বছর কোন সুদ দিতে হবে না। –