পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে করায় ১৮ বছরের মেয়েকে গুলি করে খালে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন বাবা। কিন্তু অদ্ভুতভাবে বেঁচে গেছেন সেই তরুণী। গত বুধবার পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা আলী আকবর বলেন, ইসলামাবাদ থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে হাফিজাবাদে কয়েকজন আত্মীয়ের সহায়তায় ১৮ বছরের ওই তরুণীকে তাঁর বাবা হত্যার চেষ্টা করেন।
আলী আকবর বলেন, ‘সাবা মাকসুদ নামে ওই তরুণী পাশের শহরের একজনকে ভালোবাসতেন। গত সপ্তাহে তিনি তাঁকে বিয়ে করেন। কিন্তু সাবা মাকসুদের বাবা জোর করে তাঁকে ঘরে ফিরিয়ে আনেন। ঘরে এনে পরিবারের সদস্যরা মেয়েকে পেটান। পরে কাছাকাছি একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে বাবা তাঁর মেয়েকে হত্যা করার চেষ্টা করেন।’
বেঁচে যাওয়া সাবা মাকসুদ পুলিশকে বলেন, ‘বাবা আমার মুখে গুলি করেছে। এ সময় আমার দুই চাচা সেখানে ছিলেন। আমাকে একটি মোটা কাপড়ে মুড়ে খালে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়।’
এ প্রসঙ্গে আলী আকবর বলেন, ‘সাবা আমাদের বলেছেন যে তাঁর বাবা ও আত্মীয়রা ভেবেছিলেন তিনি মারা গেছেন। কিন্তু তাঁর জ্ঞান ফিরে আসে। পরে খাল থেকে তিনি উঠে আসেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সাবা মাকসুদের বাবাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি। যাঁরা হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁদেরও খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।’
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গত মাসেই পাকিস্তানে ২৫ বছরের এক নারীকে পিটিয়ে ও পাথর ছুড়ে হত্যা করা হয়। পাকিস্তানে প্রতিবছরই রক্ষণশীল পরিবারগুলোতে এরকমভাবে নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা ঘটে। প্রথাগত নিয়ম বা সীমা লঙ্ঘন করে কোনো আচরণ করার শাস্তি হিসেবে রক্ষণশীল পরিবারগুলো নারীদের এরকম শাস্তি দেয়। এগুলোকে তাঁরা ‘অনার কিলিং’ হিসেবে চিহ্নিত করে।