নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের দেহরক্ষী মোর্তজা জামান ওরফে চার্চিলকে (৪৫) আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ফরিদপুর সদরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ৩৮ দাগ গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে মোর্তজাকে আটক করা হয়। তাঁকে গতকাল রাতে নারায়ণগঞ্জের ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়৷
ফরিদপুর জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুনীল কর্মকার প্রথম আলোকে জানান, নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনার পর থেকেই মোর্তজা আত্মগোপনে ছিলেন৷ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাঁকে শ্বশুরবাড়ি থেকে আটক করা হয়৷ তিনি জানান, মোর্তজা নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি নূর হোসেনের দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করতেন৷ মোর্তজা ফরিদপুর পৌর এলাকার ভাটিলক্ষ্মীপুর মহল্লার মৃত মসিউর রহমানের ছেলে৷ তাঁর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ঢাকার আদালতে একটি মামলা আছে। তাঁর প্রথম স্ত্রী নাসিমা আক্তার ২০১০ সালে মামলাটি করেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, মোর্তজা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তিনি ১৯৮৭ সালে ফরিদপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হন৷ পরে ঢাকায় চলে যান। কিছুদিন বিভিন্ন তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেছেন। পরে নূর হোসেনের দলে যোগ দেন৷ প্রথম দিকে নূর হোসেনের পক্ষে মিছিল-সমাবেশে অংশ নিতেন। বছর তিনেক আগে তাঁকে দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োগ দেন নূর হোসেন৷
এদিকে, এই সাত খুনের ঘটনায় জড়িত হিসেবে র৵াবের সাবেক দুই কর্মকর্তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে যাঁদের নামে এসেছে, তাঁদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর দাবি জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান৷
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মেজর (অব.) আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার (অব.) এম এম রানা স্বীকারোক্তিতে নতুন করে যাঁদের নাম এসেছে, তাঁদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে৷
নারায়ণগঞ্জ পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ এঁদের মধ্যে এখন রিমান্ডে রয়েছেন র৵াব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মাদ৷