’১৮ সালের মধ্যে লক্ষ্য পূরণের অঙ্গীকার ॥ চরম দারিদ্র্য নির্মূল

0
123
Print Friendly, PDF & Email

০ অর্থমন্ত্রীর বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন
০ উচ্চাভিলাষী বাজেট বাস্তবায়ন করে দেশের ভাল হচ্ছে
০ কোন খাতেই কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নেই
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রস্তাবিত বাজেটকে উচ্চাভিলাষী স্বীকার করে নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, উচ্চাভিলাষী বাজেটের কারণেই গত পাঁচ বছরে দেশে বাজেটের আকার দ্বিগুণ হয়েছে। আর বড় বাজেট ব্যয়ের সামর্থ্যও দেশে তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, উচ্চাভিলাষী বাজেটের কারণেই ২২ বছরে যে জনসংখ্যা দারিদ্র্যসীমা অতিক্রম করেছে তার ৪৫ শতাংশই অতিক্রম করেছে গত পাঁচ বছরে। ২০১৮ সালের পর দেশ থেকে চরম দারিদ্র্য সম্পূর্ণরূপে নির্মূল হবে।
শুক্রবার বিকেলে বাজেট-পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সব সময় উচ্চাভিলাষী। এ কারণে আমি প্রথম বছর থেকেই উচ্চাভিলাষী বাজেট দেই। এই উচ্চাভিলাষী বাজেট বাস্তবায়ন করে দেশেরই ভাল হচ্ছে।’
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কোন খাতেই কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নেই। বাজেট বক্তৃতায় যদিও বিষয়টি আমি বলিনি। তবে এখন বলছি, আগে এ বিষয়ে যেসব সুযোগ ছিল তা বাতিল হলো।’
তিনি বলেন, ‘চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরে তিনটি খাতে (দশ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করা, ফ্ল্যাট ও জমি কেনা এবং ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ) কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরে এই সুবিধা নিয়ে এ পর্যন্ত এসব খাতে মাত্র ৩৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকার ট্যাক্স পেয়েছে ৩৪ কোটি টাকা।’
তিনি বলেন, যেহেতু কালো টাকা সাদা করার পরিমাণ কমে এসেছে, তাই এ সুযোগ আর দেয়া হবে না। তার মানে কি দেশে কালো টাকা নেই- এ প্রশ্ন রেখে অর্থমন্ত্রী বলেন, কালো টাকা আছে। যেহেতু এই সুবিধায় সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না, সেই কারণেই এটা বন্ধ করা হয়েছে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, কিভাবে কালো টাকা হয় তা নিয়ে আমরা একটি সমীক্ষা করব। তারপর তা ঠেকানোর চিন্তাভাবনা করব। তবে জমি বিক্রি কালো টাকার একটি বড় উৎস। এটা কিভাবে বন্ধ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন জানিয়েছেন, ‘আয়কর আইনের ১৯ (বিবিবি) ধারায় কালো টাকা সাদা করার যে সুযোগ ছিল তাও এবার বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে কোন ক্ষেত্রেই কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকল না।’
রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক উন্নতি করতে হলে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। প্রতিবাদের ভাষা সহিংসতা হতে পারে না। এই সংস্কৃতি আমাদের পরিহার করতে হবে। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দই সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে যে হানাহানি হয়েছে তা মূলত জনগণের প্রবল মতামতের কারণেই বন্ধ হয়েছে। এ কারণে আমি বাজেট বক্তৃতায় দেশবাসীর উদ্দেশে অর্থনৈতিক কর্মকা- ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন সব কর্মকা- সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছি।
জাতীয় সংসদে আগামী ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনের পরদিন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। ওই সংবাদ সম্মেলনে সরকারের আরও চার প্রভাবশালী মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সামনের ডায়াসে বসেছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান। পেছনের আরেকটি টেবিলে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান, অর্থসচিব ফজলে কবীর প্রমুখ।
শুক্রবার বিকেল সোয়া ৪টায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সূচনা বক্তব্য রাখেন। শুরুতেই তিনি বলেন, বাজেট নিয়ে মানুষের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন জাগে, সেসব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য এই সংবাদ সম্মেলন। পরে তিনি বাজেটসংক্রান্ত প্রশ্ন করার জন্য সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এর পর মাইক্রোফোন হাতে আসার পর বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইনে কর্মরত অর্থনীতি বিটের রিপোর্টাররা অর্থমন্ত্রীকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন। একপর্যায়ে প্রশ্নে আধিক্যে অর্থমন্ত্রী বিরক্ত হয়ে ওঠেন।
মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ার পরও করমুক্ত আয়ের সীমা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। অপরদিকে নারীদের ক্ষেত্রে সে সুযোগ বাড়ানো হয়েছে। এতে এক ধরনের বৈষম্য হয়েছে। এই বৈষম্য দূর করার উদ্যোগ নেয়া হবে কিনা এই প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, করমুক্ত আয়ের সীমা আমাদের দেশে যেভাবে বাড়ানো হয় সেভাবে বিশ্বের কোন দেশে বাড়ানো হয় না। বিশ্বের ধনী দেশেও এভাবে বাড়ানো হয় না। ২ লাখ ২০ হাজার টাকা আগামী ১০ বছরের জন্য নির্ধারণ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর আপত্তির কারণে তা সম্ভব হয়নি।
মোবাইল সেট এখন অতিপ্রয়োজনীয় একটি জিনিস। দেশের ১০ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। সেটের ওপর বাড়তি করারোপ করার ফলে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই এখান থেকে কর প্রত্যাহার করা উচিত। সাংবাদিকদের এ বক্তব্যের জবারে অর্থমন্ত্রী বলেন, মোবাইল সেটে যে কর বসানো হয়েছে তাতে কেউ আপত্তি করবেন না বলে আমার ধারণা। এছাড়া এখান থেকে সহজে সরকার কর আদায় করতে পারবে। মোবাইলে কর যেভাবে ধরা হয়েছে সেভাবে অনেক দেশেই আদায় করা হচ্ছে।
ধনীদের কর হার কমানো আর গরিবদের কর মওকুফের সীমা না বাড়ানো বৈষম্য কিনা? এমন প্রশ্নে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, তার ইচ্ছা থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর অনিচ্ছার কারণে এক্ষেত্রে কোন পরিবর্তন আসেনি। এ সময় তিনি জানান, বিশ্বের কোথাও এ দেশের মতো কর মওকুফের সীমানা পরিবর্তন করা হয় না। বৈদেশিক অনুদান ও ব্যবহারসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক অনুদান ও ব্যবহারের পরিমাণ বাড়ছে।
বাড়িভাড়া ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করার বিধান চালু হলে এতেও এক ধরনের ফাঁকি প্রবণতা বাড়বে। সাংবাদিকদের এসব মন্তব্যের জবারে এনবিআর চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বলেন, বাড়িভাড়া কিভাবে সংগ্রহ করা হবে, কিভাবে ব্যাংক হিসাব খোলা হবে তা বিধি দ্বারা নির্ধারিত হবে। ৩০ জুনের মধ্যে এ বিধিমালা তৈরি করা হবে। ২৫ হাজার টাকার উপরে বাড়ি ভাড়া হলে ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধের কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার জাতীয় বাজেট ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী।
বাড়িভাড়া কৌশলে দিলে কী হবে- জানতে চাইলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, প্যানাল কমিশনে ৫০ শতাংশ প্যানাল্টির প্রস্তাব করেছে। ধরা পড়লে অসুবিধা হবে। দুইপক্ষের ব্যাংক হিসাব খোলার ব্যবস্থা থাকবে। তাই বাড়িওয়ালারা ঝুঁকি নেবে না।
কৃষি খাতে বরাদ্দ এবং ভর্তুকি কমানো হয়েছে এ সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে কৃষির জন্য যে পরিমাণ বরাদ্দ পাওয়া গেছে তা চাহিদার সমান। তিনি বলেন, কৃষিতে বাজেট কমানোর কোন কৃপণতা সরকারের নেই, আমার পক্ষ থেকেও কোন খেদ নেই। যা চেয়েছি তাই বরাদ্দ পেয়েছি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে যখন আমরা ক্ষমতায় আসি তখন টিএসপি, এমওপিসহ বিভিন্ন সারে ভর্তুকি দিতে হতো। এখন ভর্তুকি দিয়ে দাম কমাতে হচ্ছে না। কৃষিঋণ ১১ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশ এবং সুদের হার ৮ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশে আনা হয়েছে। সুতরাং আগের থেকে কৃষিতে বাজেট বরাদ্দ বেড়েছে। বিজ্ঞান-গবেষণার জন্য যে বরাদ্দ তাও কৃষিতে যোগ হচ্ছে জানিয়ে মতিয়া চৌধুরী বলেন, পাটের জিনোম সিকোয়েন্স, বিটি বেগুনের জাত, খরা ও জলাবদ্ধতাসহিষ্ণু ধানের জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। বিরোধী দলের আন্দোলনের সময় আলু পচে নষ্ট হয়েছে দাবি করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানাই সেসব ছবি তুলে পত্রিকায় ছেপেছেন।
দেশে ধনী-দরিদ্রের আয়-বৈষম্য বাড়ছে, সংবিধান অনুযায়ী দেশে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সরকার কী করছে? এক সাংবাদিকের এ প্রশ্নের জবাব অর্থমন্ত্রী না দিয়ে তথ্যমন্ত্রীকে মাইক ছেড়ে দেন। জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ২০০৮ সালের পর সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে বৈষম্য কমানো। যা সরকার সাফল্যের সঙ্গে করে এসেছে। কারণ ২০০৮ সালের তুলনায় দেশে দরিদ্র এবং অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমেছে বাংলাদেশের মতো সমাজতান্ত্রিক দেশ পৃথিবীতে নাই। দেশে ক্রমান্বয়ে ধনী-গরিব বৈষম্য কমে আসছে। আর ২০১৮ সালের পরে দেশে গরিব থাকবে না। তিনি বলেন, দেশে একই সঙ্গে প্রবৃদ্ধিও হচ্ছে আবার দারিদ্র্যও কমছে। সুতরাং সংবিধান অনুযায়ী দেশে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কাজ এগিয়ে চলেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের পরে দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমেছে প্রায় ৩ কোটি আর চরম দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ২ কোটি ৮৮ লাখ থেকে কমে ১ কোটি ৫০ লাখে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং বর্তমান সরকারের আমলে একই সঙ্গে প্রবৃদ্ধি বাড়ছে আবার দরিদ্র মানুষের সংখ্যাও কমেছে। ফলে ২০১৫ সালে আমাদের যে এমডিজি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল আমরা তার আগেই সে লক্ষ্য পূরণ করতে পারছি।
ইনু বলেন, বিগত খালেদা জিয়ার সরকার দেশের অর্থনীতিকে মুক্তবাজারের কাছে ইজারা দিয়েছিল। যা থেকে দেশের অর্থনীতিকে বের করে আনা সম্ভব হয়েছে। ফলে দেশে বৈষম্য কমেছে।
এ ছাড়া বৈষম্য কমাতে বর্তমান সরকার গ্রামের স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব করে দিচ্ছে। তা ছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যাও ব্যাপকহারে বেড়েছে।
অর্থ পাচার ও মানিলন্ডারিংসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, দেশ থেকে অর্থ সেভাবে পাচার হচ্ছে না। কারও কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। তবে টাকার ধর্ম হচ্ছে আদর, আপ্যায়ন যেখানে বেশি সেখানেই সে ছুটে যাবে। সে অর্থে দেশ থেকে কিছু টাকা চলে যেতেও পারে। তিনি বলেন, প্রাইভেট বিনিয়োগ কমায় অর্থ পাচার হচ্ছে। কিন্তু তা রোধে বাজেটে কী ব্যবস্থা রাখা হয়েছে? জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আপনারা অনেকে অভিযোগে করে বলেছেন, প্রাইভেট বিনিয়োগ কমায় অর্থ পাচার হচ্ছে। কিন্তু আমি বলতে চাই, এ তথ্য সঠিক নয়। কারণ আমার কাছে এ ধরনের কোন তথ্য নেই। আর যদি হয়েই থাকে, তবে সেটা মানিলন্ডারিং অপরাধ। তাই আপনাদের কাছে যদি অর্থ পাচারের কোন তথ্য থেকে থাকে তবে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে দিন। আমরা ব্যবস্থা নেব। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে মন্ত্রী বলেন, গত বছর পৃথিবীতে যে অর্থনৈতিক মন্দা ছিল তা বাংলাদেশকে স্পর্শ করতে পারেনি। এছাড়া বাংলাদেশের এডিপির ৯৬ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। আগামী অর্থবছরে এডিপির ৯৮ শতাংশ অর্জন করা সম্ভব হবে।
রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর প্রতিবছরেই রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হচ্ছে। যদি পূরণ বা আদায় করা সম্ভব না হবে তবে এটা বাড়ানো হচ্ছে কিভাবে। তাই আমি বলব, আগামী বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।
আগামী অর্থবছরে দেশের মূল্যস্ফীতি স্থিতিশীল থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান।
মূল্যস্ফীতিসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংক গবর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, বর্তমানে অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে সত্য। তবে এটাও সত্য যে, অনেক পণ্যের দাম কমেছে। এখন মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের দিকে ধাবিত হচ্ছে। যা ইতিবাচক।
তিনি আরও বলেন, মাঝে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে দেশের পণ্য সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। তাই মূল্যস্ফীতি বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন পণ্য সরবরাহের ভিত্তি শক্তিশালী করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। তাই মূল্যস্ফীতি এবার স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করা যায়।
গবর্নর বলেন, অনেকে বলেন সরকারের ঋণ নেয়ার প্রবণতা বাড়লে মূল্যস্ফীতি বাড়ে কিন্তু এ ধারণা ঠিক নয়। কারণ, কৃষি ও এসএমই খাতে ঋণ দেয়ার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল তা পূরণ হয়নি। তাই সরকারী ঋণ মূল্যস্ফীতি বাড়ায় তা সঠিক না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা মশিউর রহমান, আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা, সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল হক, টেলিযোগাযোগ সচিব আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।

শেয়ার করুন