লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পালেরহাট এলাকায় বিয়েবাড়িতে হত্যা মামলার আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন সাত পুলিশ সদস্য।
আজ দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফরহাদ হোসেন ও রানা ইসলাম নামে দু’জনকে আটক করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যায়, দুপুরে সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের পালেরহাট ইয়ারপুর এলাকায় জালাল উদ্দিন মৌলভির বাড়িতে মঞ্জুরুল ইসলামের বোন রাহেলা আক্তারের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে যুবলীগের কর্মী রবিউল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি মঞ্জুরুল ইসলাম উপস্থিত থাকার খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) সৈকত শাহীন ও সহকারী পুলিশ সুপার মো. নাসিমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে ধরতে যায়।
এ সময় বিয়েবাড়ির লোকজনের সঙ্গে পুলিশের কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা লাঠি নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। পরে পুলিশও তাদের ওপর পাল্টা হামলা ও কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে।
এ সময় পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক অহিদুল হক, নায়েক খলিলুর রহমান, কনস্টেবল আবদুর রব, ইকবাল হোসেন, মাইন উদ্দিন, হারুনুর রশিদ ও আবুল কালাম আজাদ আহত হন।
এ ছাড়া বিয়েবাড়ির আমান উল্যা মাস্টার, রাকিব হোসেন, টিটু, ফরহাদ হোসেন, সেলিম উদ্দিন, নাছির উদ্দিনসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে সাতজনকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিত্সা দেয়া হয়েছে। আহত অন্যদের গোপনে অন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা যায়।
মঞ্জুরুল ইসলামের আত্মীয়রা জানান, বিয়ের বাড়িতে দুপুরে অতিথিদের খাবার সময় সাদাপোশাকে কিছু পুলিশ সদস্য প্যান্ডেলের ভেতরে এসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে অনুষ্ঠান পণ্ড করে দেয়। এ সময় পুলিশের হামলায় কমপক্ষে ১৩ জন আহত হন।
লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) সৈকত শাহীন জানান, রবিউল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি মঞ্জুরুল ইসলাম, ফরিদ হোসেনসহ চার-পাঁচজন আসামি একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একদল পুলিশ আসামিদের ধরতে ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় সাত পুলিশ সদস্য আহত হন। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।