গত বছরের মত এ বছরের বাজেটেও বরাদ্দ বেড়েছে বিনোদন ও সংস্কৃতি খাতে। আগের বছরের তুলনায় ১৪ শতাংশেরও বেশি এই বরাদ্দ বৃদ্ধি দেশের চলচ্চিত্রশিল্পের আধুনিকায়ন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে সহায়তা করবে বলেই মনে করছেন এ খাতের সংশ্লিষ্টরা।
গত বছর বাজেটে বিনোদন, সংস্কৃতি ও ধর্ম খাতে বরাদ্দ ছিল ১,৯৫৩ কোটি, এ বছর যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৯৯১ কোটিতে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) ভারপ্রাপ্ত ব্যাবস্থাপনা পরিচালক এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এস এম হারুন-অর-রশীদের মতে, এই খাতে সরকারের সর্বোচ্চ প্রণোদনার ধারাবাহিকতায় এবারও বরাদ্দ বেড়েছে। এর ফলে চলচ্চিত্রশিল্পে আধুনিকায়নের গতি বাড়বে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন ।
“আগের অ্যানালগ প্রযুক্তি থেকে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে এফডিসিকে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া বেশ কয়েক বছর ধরেই ধীরগতিতে হচ্ছিল। এই অর্থবছরে আমাদের মুল লক্ষ্য দ্রুতগতিতে এই কাজ সম্পন্ন করা। এরমধ্যেই সে উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি আমরা। বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি পাওয়ায়, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যেমন, আধুনিক স্টুডিও, নতুন প্রযুক্তির ক্যামেরা অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনা-এইসব শিগগিরই করা সম্ভব হবে।”
এস এম হারুন-অর-রশীদ আরও জানান গাজীপুরে অত্যাধুনিক ফিল্মসিটি তৈরির প্রস্তাবনাও চলতি বছরে অনুমোদিত হয়েছে। ১০৫ একর জমির ওপর এই ফিল্মসিটি নির্মাণের প্রকল্পের অনুমোদনও শিগগিরই করা হবে। ফলে আগামী অর্থবছরের মধ্যেই এই নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে চলতি বছরেই শুরু হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইন্সটিটিউটের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আকাইভের মহাপরিচালক ডক্টর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এই বরাদ্দ বৃদ্ধি ইন্সটিউটের কার্যক্রম বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
“এবছরই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইন্সটিটিউটের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। চলচ্চিত্র নির্মান প্রশিক্ষণ বিষয়ক এক বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স আমরা চালু করেছি। ভবিষ্যতে এই বিষয়ে স্নাতক এবং উচ্চতর পর্যায়ের কোর্সও চালু করার ইচ্ছা আছে। সেই ক্ষেত্রে বাজেটে এই বরাদ্দবৃদ্ধি আমাদের জন্য অবশ্যই সুসংবাদ।”
এফডিসির পাশাপাশি দেশব্যাপী সিনেমা হলের উন্নয়নেও এই অর্থবছরে কাজ শুরু হবে বলে জানান বিএফডিসির ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক।