ড্যান্ডি ডাইংয়ের ঋণখেলাপী মামলার শুনানি শেষে আদেশের জন্য ১২ জুন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মো. রবিউজ্জামান আদালত শুনানি শেষে এ দিন ধার্য করেন। আদালতে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষের এডভোকেট হোসনে আরা বেগম ।
বিবাদী পক্ষে আইনজীবী এডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, এডভোকেট মোস্তাক ও এডভোকেট এম হেলাল উদ্দিন শুনানি করেন।
এ মামলার বিবাদীরা হলেন- বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তার ছোট ভাই আরাফাত রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, মামুনের স্ত্রী শাহীনা ইয়াসমিন, কাজী গালিব আহমেদ, মিসেস শামসুন নাহার, মাসুদ হাসান, প্রয়াত সাঈদ এস্কাদরের ছেলে শামস এস্কান্দার ও সাফিন এস্কান্দার, মেয়ে সুমাইয়া এস্কান্দার ও স্ত্রী বেগম নাসরিন আহমেদ।
মামলার ১০ নম্বর বিবাদী মোজাফফর আহমেদ মারা যাওয়ায় তার স্ত্রী শামসুন্নাহার ও ছেলে মাসুদ হাসানকে এ মামলায় বিবাদীভুক্ত করা হয়।
৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণ খেলাপীর অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বিবাদীরা ড্যান্ডিডাইংয়ের পক্ষে ১৯৯৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন। পরে ওই বছরের ৯ মে সোনালী ব্যাংক বিবাদীদের আবেদনকৃত ঋণ মঞ্জুর করেন।
২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাদীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদ সুদ মওকুফ করেন। কিন্তু বিবাদীরা ঋণ ফেরত প্রদান না করে বরাবর কালক্ষেপণ করতে থাকে।
পরবর্তীতে ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য চূড়ান্ত নোটিশ প্রদান করা হলেও বিবাদীরা কোনো ঋণ দেয়নি।
পরে সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে গত বছরের ২ অক্টোবর ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।