পশ্চিমা বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর গ্রুপ জি- সেভেন বলছে তারা রাশিয়ার ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা আনতে প্রস্তুত।
ব্রাসেলসে এক বৈঠকে গ্রুপের সদস্যরা বলেছে রাশিয়া যদি পূর্ব ইউক্রেনে অস্থিতিশীলতা বাড়াতে থাকা তাহলে তারাও এ বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নেবে।
এক যৌথ বিবৃতিতে জি- সেভেনের নেতারা বলেছে রাশিয়ার কার্যক্রম অগ্রহণযোগ্য এবং এটাকে থামাতে হবে।
জি এইট গ্রুপ থেকে রাশিয়াকে গত মার্চ মাসে বহিষ্কার করার পর এই প্রথম বারের মত জি-সেভেনের নেতাদের এই সম্মেলন হচ্ছে।
পূর্ব ইউক্রেনে রুসপন্থি বিদ্রোহী ও ইউক্রেনের সরকারের মধ্যে তীব্র যুদ্ধ চলতে থাকায় পশ্চিমা বিশ্বের নেতারা রাশিয়ার ব্যাপারে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
জার্মান চ্যান্সেলর বলেছেন রাশিয়া পরিস্থিতি শান্ত করতে যদি ব্যবস্থা না নেয় তাহলে তাদেরকে জি সেভেনের নেওয়া পরবর্তী পদক্ষেপ মোকাবেলা করতে হবে।
এঙ্গেলা মার্কেল বলেছেন, আমরা আমাদের বিবৃতিতে পরিষ্কার করে বলেছি আমরা তিনটি পদক্ষেপ অব্যাহত রাখতে চাই। ইউক্রেনেক আর্থিকভাবে সাহায্য করা, যেসব বিষয়ে সমাধানে আসা যায়নি সেসব বিষয়ে রাশিয়ার সাথে আলোচনা করা, আর নিষেধাজ্ঞা, একটা কঠিন নিষেধাজ্ঞা আসতে যাচ্ছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। আমরা ইউক্রেনে অস্থিরতা আর মেনে নিতে পারি না।
গত ২৪ ঘণ্টায় পূর্ব ইউক্রেনে বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকায় অন্তত ৩শ’ জনকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।
এদিকে রুসপন্থী বিদ্রোহীরা হতাহতের এ খবর নাকচ করেছেন। তারা সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিরোধ লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন।
যুদ্ধের তীব্রতা বাড়তে থাকায় কিছু কিছু এলাকা থেকে আতঙ্কে অনেক বাসিন্দাকে সামান্য আসবাবপত্র নিয়েই তারকাঁটার সূক্ষ্ম তল্লাশি চৌকি অতিক্রম করে পালিয়ে যেতে দেখা যায়।
এদিকে ইউরোপিয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জোসে ম্যানুয়েল বারোসে বিবিসিকে বলেছেন রাশিয়া ও জি-সেভেনের মধ্যে আলোচনার দরজা খুলে রাখা খুব জরুরি। আমি মনে করি এটা খুব শক্তিশালী সিদ্ধান্ত যে আমরা ভøাদিমির পুতিনের রাশিয়াকে জি-এইটের বৈধ সদস্য হিসেবে মেনে নিতে পারি না। কিন্তু অবশ্যই আমরা তার সাথে আলোচনার পথ খোলা রাখছি।
এদিকে ইউক্রেন প্রসঙ্গে রাশিয়ার গৃহীত পদক্ষেপের কারণে রাশিয়ার ওপর আস্থায় যে চিড় ধরেছে তা পুনরুদ্ধারের জন্য ভ্লাদিমির পুতিনকে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তাগাদা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
মঙ্গলবার পোল্যান্ড সফরের সময় এক মন্তব্যে পুরনো আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য পুতিনকে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।