আর্জেন্টিনার আয়েশি জয়

0
151
Print Friendly, PDF & Email

ক্লাব থেকে দেশের জার্সি পরেও গোলের ধারায় ফিরতে পারেননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। কিন্তু তারপরেও জয় পেতে সমস্যা হয়নি ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
 
বুধবার ঘরের মাঠ বুয়েন্স আয়ার্সের মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে ক্যারিবিয়ান প্রতিপক্ষ ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর বিপক্ষে আয়োজিত আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ৩-০ গোলে জয় তুলে নিয়েছে আলবেসেলেস্তিরা।
 
ব্রাজিল বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে প্রথম এই প্রস্তুতি ম্যাচে আর্জেন্টিনা আনায়াশ জয় তুলে নিলেও দলটির কোচকে কিছু বিষয় নিয়ে নতুন করে রণ-পরিকল্পনা সাজাতে হবে। কারণ, এদিন প্রতিপক্ষের জালে মেসিদের নেয়া ১৭টি শটের ১২টি শটই লক্ষ্যচ্যুত হয়। যার মধ্যে তিনটি শটে গোল আদায় করতে সক্ষম হয় আলেসান্দ্রো সাবেলার প্রশিক্ষণাধীন দলটি।
 
লাভেজ্জি, প্যালাসিও, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার সাথে গোল মিসের মহড়ায় যোগ দেন মেসিও। প্রথমার্ধে একা গোলকিপারকে পেয়েও স্কোরলাইনে নিজের নাম লেখাতে ব্যর্থ হন মেসি। পরে গোলের আরো দুটি সহজ সুযোগ মিস করেছেন বার্সেলোনা প্রাণ ভোমরা। যদিও মাঠে বেশ সজিব ছিলেন ফুটবলের ক্ষুদে যাদুকর। আর্জেন্টিনার প্রতিটি আক্রমণের কেন্দ্রে ছিলেন টানা চারবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার।
 
প্রথম চল্লিশ মিনিট গোল মিসের প্রদর্শনী করার পর প্রথমার্ধেই গোল তুলে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে আর্জেন্টাইনরা। এরই ধারায় খেলার ৪৫ মিনিটে কর্নার পায় লাতিন আমেরিকার দলটি। অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার নেয়া সেই কর্নার থেকে গোল করে দলকে প্রথম এগিয়ে নেন ইন্টার মিলান ফরোয়ার্ড রদ্রিগো প্যালাসিও।
 
এরপর বিরতি থেকে ফিরে খেলার ৫১ মিনিটে ত্রিনিদাদের বক্সের সামনে একটি ফ্রি-কিক পায় আর্জেন্টিনা। ডি বক্সের ২৭ মিটার দূর থেকে মেসির নেয়া সেই ফ্রি-কিক প্রতিপক্ষের গোলবারে লেগে হাভিয়ের মাসচেরানোর পায়ে চলে যায়। তা থেকে গোল তুলে নিতে ভুল করেননি বার্সা ডিফেন্ডার। স্কোরলাইন ২-০ করেন তিনি।
 
এরপর ত্রিনিদাদের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেন ম্যাক্সি রদ্রিগেজ। দারুণ এক কাউন্টার অ্যাটাক থেকে খেলার ৬৪ মিনিটে গোল তুলে নেন সাবেক লিভারপুল তারকা। এদিন আর্জেন্টাইন ত্রয়ী গনজালো হিগুয়েন, সার্জিও আগুয়েরো ও পাবলো জাবালেতাকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন দলটির ম্যানেজার সাবেলা। তাদের জায়গায় খেলিয়েছেন হুগো কাম্পাগনারো, রদ্রিগো প্যালাসিও ও এজকুয়েল লাভেজ্জিকে।

শেয়ার করুন