নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে অপহরণ ও খুনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশ অনুসারে বিবাদীদের কার্যক্রমের অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী ৯ জুলাই দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তবে এ সময়ের আগে যদি কোনো বিবাদীর তদন্ত শেষ হয়ে যায়, তাহলে ফলাফল ও সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেওয়া যাবে।
সাত খুনের ঘটনায় আদালতের নির্দেশ অনুসারে আজ বুধবার চার বিবাদীর প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুুবে আলম। পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালক, সিআইডি ও সাত সদস্যের তদন্ত কমিটির পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
কমিটিগুলোর পক্ষ থেকে চার সপ্তাহের সময় চেয়ে আবেদন করা হলে আদালত ওই তারিখ ধার্য করেন।
৫ মে বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারির পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা দেন। এতে সাতজনকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কোনো গাফিলতি আছে কি না, এটিসহ পুরো ঘটনা তদন্তে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় র্যাবের সম্পৃক্ততা আছে কি না, এ বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত করতে র্যাবের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া এ ঘটনায় করা মামলা গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) পাশাপাশি সিআইডিকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা দিতে আইজিপিকে নির্দেশ দেন।
অপহরণের পর খুনের ঘটনায় নিহত সাতজনের মৌলিক অধিকার রক্ষায় তাত্ক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণে বিবাদীদের ব্যর্থতা চ্যালেঞ্জ করে ১১ মে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
২৭ এপ্রিল দুপুুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহূত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। এর তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যায় একে একে ভেসে ওঠে ছয়জনের মরদেহ। পরদিন আরেকজনের লাশ ভেসে ওঠে। বাকি পাঁচজন হলেন কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের সঙ্গী তাজুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান স্বপন, লিটন ও নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আরেকটি গাড়িতে থাকা আইনজীবী চন্দন সরকার ও তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহিম। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে মামলা করেছে নজরুলের পরিবার।