স্ত্রীর সহযোগিতায় ৩ মাস যাবৎ পাপ্পু (৫০) নামে এক ব্যক্তি নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় তার পরিবারের লোকেরা এই ঘটনার কথা জানতে পারেন৷
ভারতের মুরেনা অঞ্চলের গণেশপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকেরা জানায়, ওই নাবালিকা তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
এই মামলায় অভিযুক্ত পাপ্পু কবাডিয়া ও তার স্ত্রী আমিনাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷
পুলিশ জানায়, মুরেনা অঞ্চলের গণেশপুর এলাকার বাসিন্দা পাপ্পু তিন মাস আগে নাবালিকাকে মিষ্টির লোভ দেখিয়ে নিজের ঘরে নিয়ে আসে। যখন সে তাকে তার শোবার ঘরে নিয়ে যায়, তখন তার স্ত্রী আমিনা বাইরে থেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। সে নাবালিকাকে ধর্ষণের পর এই কথা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয়। এরপরেও পাপ্পু বেশ কয়েকবার নাবালিকাকে ধর্ষণ করে।
নাবালিকার বাবা-মা তার গর্ভপাতের জন্য চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েছেন। এই ঘটনা সামনে আসার পর ওই দম্পতির ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। এ ছাড়া সবাই নিজের মেয়েদের প্রতি অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করছেন৷
মুরেনা অঞ্চলে এটি দ্বিতীয় ঘটনা যেখানে স্ত্রী স্বামীকে ধর্ষণে সাহায্য করেছেন। সবলগড় এলাকা থেকেও গত বছর অক্টোবরে একই ঘটনা ঘটেছিল৷ এবার প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের সমাজ কোন পথে এগোচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তর আমাদের নিজেদেরই খুঁজতে হবে৷
এ বিষয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, অনেক সময় স্ত্রী স্বামীর তুলনায় আগেভাগে যৌবন হারালে এই ধরণের ঘটনা ঘটে। তখন সংসার টিকিয়ে রাখতে স্বামীর অনেক অনৈতিক দাবি স্ত্রীরা মেনে নেয়।