বিষণ্ণতা কিশোর-কিশোরীদের মৃত্যুর বড় কারণ

0
275
Print Friendly, PDF & Email

সময় মতো ব্যবস্থা নিলে ২০১২ সালে হয়ত ১৩ লাখ তাজা প্রাণ ঝরে যেত না। তাদের অনেককেই কুড়ে কুড়ে খেয়েছে বিষণ্ণতা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, বয়ঃসন্ধিকালে পা রাখা অনেকেরই মৃত্যু ডেকে আনছে বিষণ্ণতা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডাব্লিউএইচও-র সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান বিশ্বে ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সিদের বড় একটা অংশের অসুস্থতার অন্যতম কারণ বিষণ্ণতা। অনেক কিশোর-কিশোরীই বয়ঃসন্ধিকালে শুরু হওয়া মানসিক অসুস্থতা বয়ে বেড়ায় জীবনভর। সারা বিশ্বের মানসিকভাবে অসুস্থ প্রাপ্তবয়স্কদের অন্তত অর্ধেকের মাঝে এই রোগের লক্ষণ দেখা গিয়েছিল বয়স ১৪ পূর্ণ হওয়ার আগে। ডাব্লিউএইচও-র পরিবার, নারী এবং শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ফাভিয়া বুস্ত্রেও বলেন, ‘কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থের প্রতি বিশ্ব যথেষ্ট মনযোগ দেয়নি। মানসিক সমস্যাগ্রস্থ এই কিশোর-কিশোরীদের ঠিকভাবে যত্ন নিলে অনেকের মৃত্যু এবং জীবনভর ভোগান্তির হাত থেকে রা করা সম্ভব।’
জাতিসংঘের একটি সংস্থা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে প্রকাশিত তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। কৈশোর এবং যৌবনের মধ্যবর্তী বয়সিদের ধূমপান, মদ্যপান, মাদক সেবন, এইচআইভি সংক্রমণ, পুষ্টিহীনতা, যৌনতা, মানসিক স্বাস্থ্য এবং সহিংসতাসহ বেশ কিছু বিষয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের উচ্চ আয় সম্পন্ন দেশগুলোতেই কিশোর-কিশোরীদের মানসিক সমস্যাজনিত রোগ এবং মৃত্যুর হার বেশি।
মানসিক স্বাস্থ্যের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা প্রয়োজন অনুযায়ী না বাড়লেও অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীদের প্রতি মনযোগ বেড়েছে। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর এবং সন্তান জন্ম দেয়ার সময় মৃত্যুর হার গত চার বছরে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। এ উন্নতি অবশ্য সন্তোষজনক নয়। সারা বিশ্বে এখনো সন্তান জন্ম দেয়ার সময়ই সব চেয়ে বেশি কিশোরী মারা যায়। নানা কারণে আত্মহননের পথও বেছে নেয় কিশোর-কিশোরীরা। ডাব্লিউএইচও-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বয়ঃসন্ধিকালে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর কারণ প্রসবকালীন জটিলতা, আর তারপরই রয়েছে আত্মহত্যা।

শেয়ার করুন