গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি ইস্যুকে সামনে রেখে দলের উপদেষ্টা, কার্যনির্বাহী সংসদ ও সংসদ সদস্যদের যৌথসভা ডেকেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক হবে। সাম্প্রতিক সময়ের গুম-খুনের ঘটনা, দলীয় নেতাকর্মীদের আন্তঃকোন্দল, নতুন সরকারের প্রথম বাজেট, দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সাংগঠনিক পুনর্গঠনের বিষয় গুরুত্ব পাবে বৈঠকে। দলীয় সূত্র জানায়, তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগের দলীয় শৃঙ্খলা অনেকটা ভেঙে পড়েছে। এ কারণে অনেক জেলায় দলীয় নেতাকর্মীরাই অর্ন্তকোন্দলে জড়িয়ে পড়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি আলোচিত হত্যা ঘটনায় দলের নেতাকর্মীরা জড়িয়ে পড়ায় বড় ধরনের প্রশ্নের মুখে পড়েছে দলের নেতৃত্ব। নারায়ণগঞ্জ ও ফেনীর হত্যাকা-ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগ সামনে আসায় অনেকটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে দলটি। এছাড়া সাম্প্রতিক গুম-খুনের ঘটনায় প্রশ্ন মুখের পড়েছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি- যা দল ও সরকারের জন্য বিব্রতকর অবস্থা তৈরি করেছে। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, এসব বিষয়ে দলের নেতা ও এমপিদের কড়া নির্দেশনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের নামে যারা বিভিন্ন স্থানে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের চিহ্নিত করে দলীয় ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হবে। আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে সারা দেশে এ ধরনের নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা হিসেবে থাকছে আসন্ন বাজেট। সরকারের প্রথম এ বাজেটের বাস্তবায়ন ও বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্যদের আলোচনার বিষয়ে দিকনির্দেশনা থাকবে দলীয় সভানেত্রীর কাছ থেকে। আগামী ২৩শে জুন আওয়ামী লীগের ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে বৈঠকে। দলীয় সূত্র জানায়, এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী জাঁকজমক করতে বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নেয়া হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন নিয়ে দলের নেতাদের পরামর্শ নেবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। এদিকে দীর্ঘদিন থেকে সাংগঠনিক পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা পরিকল্পনা হলেও এখন পর্যন্ত এ কাজে দক্ষতা দেখাতে পারেননি দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। সামনে বিরোধী জোটের সম্ভাব্য আন্দোলন কর্মসূচির কথা মাথায় রেখে দলকে ঢেলে সাজাতে চায় আওয়ামী লীগ। এ লক্ষ্যে সাংগঠনিক কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হবে আজকের যৌথসভায়। জেলা পর্যায়ের কাউন্সিল ও নেতাদের জেলা সফরের বিষয় থাকবে কর্মপরিকল্পনায়।
গতকাল আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন, বৈঠকে নির্ধারিত কোন এজেন্ডা না থাকলেও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সাংগঠনিক অবস্থা এবং আসন্ন বাজেট নিয়ে আলোচনা হবে। গতকাল দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় দলের উপদেষ্টা পরিষদ, কার্যনির্বাহী সংসদ ও সংসদীয় দলের (সংসদ সদস্য) সদস্যরা বৈঠকে অংশ নেবেন। এতে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিত থাকার জন্য সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম অনুরোধ জানিয়েছেন।