ফিফা বিশ্বকাপ হচ্ছে গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থ। এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে কত শত ঘটনা এবং ইতিহাস রচিত হবে তার কোনো হিসাব নেই। ফুটবলারেরা মাঠে খেলবেন। নিজেদের উৎকর্ষ মেলে ধরবেন। দল জয়ী হলে হাসবেন। আর পরাজিত হলে হতাশায় ভেঙে পড়বেন। তবে মাঠের বাইরেও কম ঘটনা ঘটবে না। অবৈধ জুয়া হবে। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো কলঙ্কময় ঘটনার জন্ম দেয়ার জন্য একটি সিন্ডিকেট তৎপর হবে। ব্রাজিলে এসব হতে পারে। তাই তো ফিফা ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে বিশ্ববাসীর তীক্ষ্ম নজর থাকা সত্ত্বেও ব্রাজিলের অপরাধীরা থেমে থাকবে না।
ফিফার নিজস্ব নিরাপত্তাবিষয়ক পরিচালক বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচগুলোকে ‘ডে রবার্স’ উল্লেখ করে বলেছেন এগুলোই সবচেয়ে বেশি ক্ষতির কারণ হতে পারে। যদিও বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ শাসক আশাবাদী যে বিশ্বকাপের মান ধরে রাখার জন্য দুর্নীতি দমনে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইন্টারপোলের সাবেক সভাপতি বুল হুই দাবি করেছেন, বেশ কয়েকটি ম্যাচ ফিক্সিং করার জন্য তৎপর হয়ে আছে বাজিকরেরা। বিশ্বকাপে যেকোনো ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। আর একটি ম্যাচ ছেড়ে দেয়ার জন্য ফুটবলারদের আর্থিক সুবিধা দেয়ার প্রলোভন দেয়া হবে। তবে ফুটবলারেরা যদিও প্রচুর অর্থ আয় করে থাকে তাই বাজিকরদের বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে। তাই তারা কিছুটা উদ্বিগ্ন। বাজিতে লগ্নি করা হবে ৮৪ বিলিয়ন পাউন্ড। যার ৮০ শতাংশই অবৈধ পন্থায় আসবে