৭ নেতার ওপর চটেছেন তারেক

0
128
Print Friendly, PDF & Email

মন্ত্রণালয়ভিত্তিক দুর্নীতি, প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয় স্বজনের দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহের জন্য দলের শীর্ষ ৭ নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই দায়িত্ব দেওয়ার এক বছরেও দায়িত্বপ্রাপ্তরা কোনো কাজই করেননি। তাই তাদের ওপর চটেছেন তারেক রহমান।

দলটির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রে এতথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের মধ্যবর্তী সময়ে দলের মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস-চেয়ারম্যান ও আমলা উপদেষ্টাদের মধ্যে সাতজনকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়।

তথ্য সংগ্রহের সমন্বয়ের দায়িত্ব ছিল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক একজন কেবিনেট সচিবের ওপর।

দায়িত্বপ্রাপ্তরা এক বছরে শুধু পত্রিকার কাটিং থেকে পাওয়া তথ্য ছাড়া তারেক রহমানের হাতে আর কিছুই তুলে দিতে পারেননি। এমনকি আন্দোলন করতে গিয়ে আহত, নিহত, পঙ্গু, গুম, অপহরণ ও মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের সঠিক তালিকাটিও তারেক রহমান দলের নেতাদের কাছ থেকে পাননি।

দলটির ৩জন যুগ্ম মহাসচিব ও মধ্যম সারির ২ থেকে ৩জন নেতা শুধু পত্রিকার রিপোটিংয়ের কাটিং সংগ্রহ করেই তাদের দায়িত্ব শেষ করছেন বলে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ এক সাংবাদিক বাংলানিউজকে জানান। তথ্য সংগ্রহে তাদের নিজেদের মধ্যেও কোনো সমন্বয় ছিল না।

নেতারা এই কাজ না করে প্রকারান্তরে তারেক রহমানের দেওয়া দায়িত্বকেই উপেক্ষা করেছেন বলেই মনে করছেন বিএনপিতে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ এক নেতা। এর মধ্য দিয়ে দল ও দলের নেতৃত্বকে অবজ্ঞা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

নেতাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া হত্যা, গুম ও অপহরণের যে তালিকা প্রকাশ করেন তা নিয়ে সমালোচনা ওঠে। খালেদা জিয়ার দেওয়া এ সংক্রান্ত তথ্য সঠিক নয় বলে পত্রপত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষয়টি তারেক রহমান জানার পর তিনি দলীয় নেতাদের ভূমিকায় হতাশা ব্যক্ত করেন।

লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, তারেক রহমান দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ দায়িত্বশীল ওইসব নেতাদের ওপর একারণে তারেক ক্ষুব্ধ।

নির্দেশ বাস্তবায়িত না হওয়ায় চলতি বছরের প্রথম দিকে নিজস্ব একটি টিম গঠন করেন তারেক রহমান। এই টিমে নাম ছিল সাংবাদিক, পেশাজীবী এবং কয়েকজন তরুণ আমলার।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বাংলানিউজকে বলেন, কেউ দুনীর্তি করে তা সামাল দিচ্ছে, কেউ পিঠ বাচাঁতে ঘরমুখি হচ্ছে, কেউবা সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সময় পার করছে। এরা আবার সরকারের দুনীঁতির তালিকা করবে কখন?, বলেন তিনি।

ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, দল ক্ষমতায় এলে এমনিতেই এরা মন্ত্রী হবেন, কষ্ট করে লাভ কি!, বলেন এই নেতা।

দলটির দায়িত্বশীল এক যুগ্ম মহাসচিবের কাছে তারেক রহমানের নির্দেশনা বাস্তবায়িত না হওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

শেয়ার করুন