কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৪টি বাড়িতে দূর্ধর্ষ ডাকাতী সংঘটিত হয়েছে৷ এসময় পরিবারের সদস্যদের ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে আটক রেখে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়৷ ডাকাতদের হামলায় আজম আলী ও বাবলু শেখ নামে দুই গৃহকর্তা আহত হয়েছেন৷ ডাকাতি সংঘটিত হওয়া ওই ৪টি বাড়ীর গৃহকর্তারা দাবি করেন নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার দিয়ে ৪ লাখ টাকার মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে গেছে৷ বুধবার রাত দু্ইটার দিকে কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের সাঁকোপাড়া এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে৷ এঘটনায় কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ লুত্ফর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন৷
জানা যায়, বুধবার রাত দু্ইটার দিকে কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের সাঁকোপাড়া এলাকার ডাকাতদল প্রথমে চাঁদ আলীর শেখের ছেলে আলতাফ হোসেনের বাড়িতে হানা দেয়৷ এসময় ডাকাতদল ওই বাড়ির লোকজনদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ২০ হাজার টাকা, সোনার এক জোড়া কানের দুল ও ও দুটি সোনার হাতের চুড়ি (বালা) নেয়৷ পরে ডাকাতদল একই এলাকার আব্দুল শেখ ও তার ছেলে বাবলু শেখের বাড়িতে হানা দিয়ে এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, ১টি সোনার আংটি, ১টি স্বর্ণের চেইন, ৬ ভরি রুপা, নগদ ৬ হাজার টাকা নিয়ে যায়৷ শেষে ডাকাতদল করিম উদ্দিনের ছেলে আজম উদ্দিনের বাড়ির গিয়ে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে হাঁত-পা বেঁধে ডাকাতি চালিয়ে এক জোড়া সোনার কানের দুল ও নগদ ২ হাজার টাকা নিয়ে যায়৷ এসময় ডাকাতদের হামলায় গৃহকর্তা আজম ও বাবলু আহত হয়৷ এতে ওই ৪টি পরিবারের আনুমানিক ৪ লাখ টাকার মালামাল খোয়া গেছে বলে দাবি করেন পরিবারের সদস্যরা৷
কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ লুত্ফর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ডাকাতদল রাত দেড়টা থেকে দুইটার দিকে ওই কয়া সাঁকোপাড়া এলাকার ৪টি বাড়িতে হানা দেয়৷ ওইসব বাড়ির গৃহকর্তারা কৃষক হওয়ায় তাদের থেকে তেমন কিছু নিয়ে যায়নি৷ তবে নগদ টাকা ও স্বর্নালংকা দিয়ে ৪টি বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা খোয়া যেতে পারে৷ ডাকাতদের ধরতে কয়া পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ মশিউর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে৷ এ রিপোর্ট লেখা পর্যনত্ম এঘটনায় কাউকে পুলিশ আটক ও ডাকাতি হওয়া মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি৷