মানুষ কেন কাঁদে? কান্নার সময় চোখ বেয়ে পানি পড়ার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে। তবে কান্নার প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যায় না গিয়ে কান্নার কারণগুলোর ব্যাখ্যা দেওয়া যাক। জীবনের সুখ-দুঃখ, কারণ-অকারণ সবকিছুতেই কাঁদতে পারেন মানুষ। এখানে একজন বিশেষজ্ঞের ব্যাখ্যা করা সাতটি কারণ উল্লেখ করা হলো।
১. একাকিত্ব জীবনে কোনো সঙ্গী বা সঙ্গিনী না থাকার যন্ত্রণা সবচেয়ে বেশি। মানুষের কান্নার জন্য এই একটি কারণ খুবই শক্তিশালী। একাকিত্ব সঙ্গী না থাকার জন্য হতে পারে। আবার হতে পারে বাড়ি ছেড়ে বহুদিন দূরে কোথাও থাকার জন্য।
২. ভয় প্রচণ্ড ভয় মানুষকে কাঁদায়। মেয়েদের মনটা অনেক নরম হয়। দেখা গেছে, কোনো মেয়ের সামনে অচেনা-অজানা কারো বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটে গেলো এবং তা দেখে মেয়েটি কেঁদে ফেললো। এমন ঘটনা ছেলেদেরও হয়।
৩. ভালোবাসা ভালোবাসায় পড়লে এবং ভালোবাসা ভেঙে গেলে মানুষ কাঁদে। মাত্রাতিরিক্ত আবেগ কান্নার ঝড় তোলে। বাবা-মা বহুদিন সন্তানকে না দেখতে পারলে কাঁদেন। আবার প্রেমিক-প্রেমিকা বিচ্ছেদের যন্ত্রণায় কাঁদেন। এসবের মূলে রয়েছে ভালোবাসা।
৪. ঘৃণা ঘৃণায় রাগ ও উত্তেজনা ছড়ালেও সেখানে কান্নাও জড়িয়ে পড়ে। প্রিয় কারো প্রতি আচমকা ঘৃণা জন্মালে মানুষ কেঁদে ফেলে। এই কান্না আসে অবিশ্বাস্য ঘৃণা থেকে।
৫. হতাশা হতাশায় ডুবে গেলে তার কান্না বেশ যন্ত্রণাদায়ক। কোনো লক্ষ্য অর্জনের প্রাণপন চেষ্টা যখন বৃথা যায় তখন হতাশায় ডুবে কেঁদে ফেলে মানুষ। যেকোনো ধরনের হতাশা মানুষে দুর্বল করে দেয় এবং তার প্রতিক্রিয়া দেখা যায় অশ্রু বিসর্জনের মধ্য দিয়ে।
৬. মৃত্যু আমরা বেঁচে আছি এবং এক সময় পৃথিবী থেকে চলে যাবো। এই সত্য সবাই অনুধাবন করেন। কিন্তু কাছের কারো মৃত্যুতে আমাদের বুক ফেটে কান্না বের হয়। এই কষ্টের কান্নার কোনো তুলনা চলে না। কারণ কাউকে চিরতরে হারানোর বেদনা মানুষ সামলাতে পারে না।
৭. আনন্দ অতি আনন্দে মানুষ কাঁদে। এ কান্নায় থাকে কিছু পাওয়ার স্বাদ। প্রথম সন্তান পাওয়ার আনন্দে বাবা-মা কেঁদে ফেলেন। অবিশ্বাস্য কোনো সফলতায় কান্না আসে। বহুদিন পর প্রিয় কাউকে ফিরে পাওয়ার আনন্দে মানুষ কাঁদে। এ কান্না নির্মল আনন্দে ভরিয়ে তোলে মন। সূত্র : ইন্টারনেট