ভারতের কাছে সমভাবে পানি চাইলেন মেয়র আরিফ

0
175
Print Friendly, PDF & Email

সিলেট অঞ্চলে সমভাবে পানিবণ্টনের ক্ষেত্রে ভারতীয় সরকারের আশু পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। চট্টগ্রাম অফিসে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সোমনাথ হালদার ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়রের মধ্যকার বৈঠককালে আরিফুল হক চৌধুরী এ আহ্বান জানান। গতকাল বিকালে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বাসভবনে এ সৌজন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, প্রকৃতিকে বাধা দিয়ে কৃত্রিম প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলে তা শুভ বার্তা নিয়ে আসে না, বরং ন্যাচারাল ডিজাস্টার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। ভারতের উচিত হবে প্রকৃতিকে বাধা না দিয়ে সিলেটজুড়ে প্রবাহিত সব নদীতে সমভাবে পানি বণ্টন করা। বৈঠককালে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী আরও বলেন, ডাউকী ফল্ট ও আসাম ফল্ট-এর কাছাকাছি হওয়ার কারণে সিলেট ও আসাম অঞ্চলের মানুষ বড় ধরনের ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছেন। এ ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য ভারত ও বাংলাদেশকে যৌথভাবে কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত। বাংলাদেশীদের কাছে শিলংকে আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট উল্লেখ করে মেয়র বলেন, এ অঞ্চলের পর্যটনশিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বার্থে ভিসা প্রসেসিং সহজীকরণ করতে হবে। বিপুলসংখ্যক রোগী প্রতি বছর ভারতে চিকিৎসা নিতে যান, সেদিক বিবেচনা করে সিলেটে একটি ভারতীয় ভিসা প্রসেসিং সেন্টার করারও আহ্বান জানান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বৈঠককালে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সোমনাথ হালদার জানান, সমভাবে পানিবণ্টনসহ বড় বড় ইস্যু দু’দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে বৈঠকের মাধ্যমে সব কিছুর সমাধান সম্ভব। এ ব্যাপারে তিনি ভারতীয় সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে উপস্থাপন করবেন বলেও জানান। সিলেটের পাসপোর্ট কালেকসন সেন্টারকে ভিসা প্রসেসিং সেন্টারে রূপান্তর করা সম্ভাবনা আছে জানিয়ে সোমনাথ হালদার বলেন, ভারতীয় সরকার বাংলাদেশীদের ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে থাকে। এমনকি অনেক সময় মানবিক বিবেচনা করেও সহজে ও দ্রুত ভিসা ইস্যু করে থাকে। ভারতীয় সরকার প্রতিদিন সাড়ে তিন হাজার বাংলাদেশীকে ভিসা দিয়ে তিনি জানান, ঢাকা থেকে প্রতিদিন আড়াই হাজার, চট্টগ্রাম থেকে পাঁচ শ’ এবং রাজশাহী থেকে চার শ’ ভিসা দেয়া হয়। ভারতীয় সরকার বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে যে আন্তরিক এসব পরিসংখ্যান সেই ইঙ্গিতই দেয়। সোমনাথ হালদার বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দীর্ঘদিনের সুম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেই ভারতীয় সরকার আরও সামনের দিয়ে এগিয়ে যেতে চায়। সিলেট সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের প্রশংসা করে সোমনাথ হালদার বলেন, সিলেট সিটি অনেক পরিচ্ছন্ন। এটি যে কারও নজর কাড়তে বাধ্য, আমারও নজর কেড়েছে। বিশেষ করে ভোরের মধ্যেই নগরীর আবর্জনা-পরিষ্কার করাকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সোমনাথ হালদার বলেন, অনেক পশ্চিমা দেশও ভোরের আগেই আবর্জনা-পরিষ্কার করতে হিমশিম খায়। উপমহাদেশের সিটিগুলোর জন্য সিলেট একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। বৈঠককালে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুধাময় মজুমদার, নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর, চিফ কনজারভেন্সি অফিসার হানিফুর রহমানসহ অনেকে।

শেয়ার করুন