টেনশনমুক্ত হওয়ার কয়েকটি সহজ উপায়

0
167
Print Friendly, PDF & Email

আমরা কেউ টেনশনের বাইরে নই। বাস্তব জীবনে যতই সুখী হই না কেন আমাদের মাথায় যে কোন টেনশন কাজ করে না এমনটা হলফ কেউ বলতে পারবে না। আমরা কেউ ইচ্ছাকৃত টেনশন করি না। এসে যায় আপনা আপনি। কারও টেনশন মাত্রাতিরিক্ত কারওবা অল্পকিছুতেই। জীবনে টেনশন থাকবেই তাই বলে তো আর থেমে থাকা চলে না। তবে এমন টেনশনকে যদি একটু সহজ করতে পারি, কিছুটা হাল্কা হতে পারি এর হাত থেকে সেটাই বা কম কিসে। যা আমাদের বাস্তব জীবনের চলাচলকে করতে পারে ছন্দময়। আসুন জেনে নিই টেনশন মুক্ত থাকার কিছু টিপস ১. কর্মক্ষেত্রের কাজ সেরে যদি পারেন দ্রুত বাসায় ফিরুন। পরিবারের সদস্যদের প্রতি মনোনিবেশ করুন।  চেষ্টা করুন অফিসের বা কর্মক্ষেত্রের কাজ বাসায় না নিতে। ২. চেষ্টা করুন পরিবারের সদস্যদের সাথে বেশি সময় দেয়ার। প্রতিদিনের সমস্যা, অভিজ্ঞতা, সুখানুভূতি সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করুন, সবার সঙ্গে সম্ভব হলে গল্প করুন। ৩. কৌশল অবলম্বন করতে পারেন ABCD-এর সমন্বয়ে । A হচ্ছে Acceptance চেষ্টা করুন গ্রহণ করতে, B হচ্ছে Bypass বাইপাস করে দিন কিছু বসয়কে। গুরুত্ব না দেয়াই ভাল যেটা নিতান্তই আপনার নয়। C হচ্ছে Cancel. অর্থাৎ চেষ্টা করুন পীড়াদায়ক, টেনশন হয় এমন কোন ঘটনাকে মন থেকে ফেলে দিতে আর উ হচ্ছে উড় জরুরি কিম্বা কঠিন কিছুকে ফেলে না রেখে করে ফেলার চেষ্টা করুন এখন থেকেই। ৪. মাসে এক বার হলেও ঘুরে আসুন আপনার শহর বা গ্রাম থেকে একটু বাইরে কোথাও, মানসিক প্রশান্তি আসবে। ৫. যদি আপনার সন্তান সন্ততি থাকে তবে তাদের সঙ্গে খেলাধুলা করুন, আদর করুন, গল্প করুন। ৬. আপনি যদি পরিবারের প্রধান কর্তাও হন কখনও সবসময় কর্তা বা প্রধান হয়ে না থাকার চেষ্টা করুন। সবার থাকে থাকুন একাকার হয়ে। ৭. সবসময় মাথায় রাখাটা জরুরি যে সবকিছুর চেয়ে পরিবারের সদস্যর গুরুত্ব অনেক বেশি আপনার কাছে। ৮. শান্ত নিরিবিলি এমন কোন পরিবেশে গিয়ে বসুন। সময় বেশি নিয়ে প্রশ্বাস নিন। ৯. আপনার ফেলে আসা স্মৃতিগুলোর কথা মনে করার চেষ্টা করুন যে দিনগুলো ছিল অনেক আনন্দের ও সুখের। ১০. খাবার মেন্যুতে সম্ভব হলে কিছু সতেজ ফলমূল ও শাকসবজি রাখুন। ১৫. ভাবতে শুরু করি আপনি ঠিক আছেন, অবসর পেলে চলে যান সাঁতারে, ব্যায়ামে কিম্বা সাইক্লিংয়ে। ১৬. পড়তে পারেন বই কিম্বা শুনতে পারেন আপনার প্রিয় কোন গান। ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন। ১৭. যদি পরিস্থিতি একেবারেই আপনাকে বেশি পীড়া দেয় তবে চিৎকার করে কেঁদেও ফেলতে পারেন এতে অন্তত কিছুটা হালকা হতে পারেন।

শেয়ার করুন