বগুড়ার ধুনট উপজেলার মানিকপোটল গ্রামে আল আমিনের ক্ষেতে উৎপাদিত স্ট্রবেরি : নয়া দিগন্ত
উচ্চশিকি তরুণ সামছুল আল-আমিন। তিনি বগুড়ার ধুনট উপজেলার মানিকপোটল গ্রামের আব্দুল বারী মাস্টারের ছেলে। সম্প্রতি বগুড়া সরকারি আযিযুল হক কলেজ থেকে মাস্টার্স পাস করেছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি কৃষি কাজের প্রতি তার খুবই আগ্রহ। একসময় আপেল ও বাউ কুল চাষ করে ব্যাপক সফলতাও পেয়েছেন। তার সাফল্যে উজ্জীবিত হয়ে এলাকার অসংখ্য শিতি বেকার তরুণ কুল চাষ করে লাভবান হয়েছেন। এরপর তিনি লাভজনক সুস্বাদু বিদেশী ফল স্ট্রবেরি চাষ শুরু করেন। স্ট্রবেরি চাষে প্রাথমিক ধারণা নিয়ে শুরু করেন চাষাবাদ। তিনি ২০১১ সালে প্রথম স্ট্রবেরি চাষ করেন। মাত্র আট শতক জমিতে পরীামূলক চাষ করে আশাতীত সাফল্য পান। এরপর ২০১২ সালে দেড় বিঘা, ২০১৩ সালে তিন বিঘা এবং চলতি বছর পাঁচ বিঘা জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করেন। আল আমিন জানালেন, চলতি মওসুমে পাঁচ বিঘা জমি থেকে কমপে ১৪ মেট্রিক টন স্ট্রবেরি উৎপাদন হয়েছে। বাজারে ভালো দাম থাকায় লাভও হয়েছে ভালো।
তিনি গ্রামের বাড়িতে পিতার প্রতিষ্ঠিত আইডিয়াল অ্যাগ্রো ফার্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে আছেন। কৃষি অনুরাগী বাবার স্বপ্ন একে একে পূরণ করে চলেছেন তিনি।
আল আমিন জানালেন, অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে নভেম্বর পর্যন্ত স্ট্রবেরি চারা রোপণ করতে হয়। চারা রোপণের ৬০ দিনের মাথায় ফলন পাওয়া যায়। দেশী বারি-৩ এবং বিদেশী কামারুচা ও ফেস্টিবেল জাতের স্ট্রবেরি চাষ করে তিনি লাভবান হয়েছেন। তিনি নিজেই চারা তৈরি করে সেই চারা রোপণ করছেন। তার সাফল্য দেখে এলাকার অসংখ্য শিতি তরুণ স্ট্রবেরি চাষ করছেন। অনেক তরুণ আল আমিনের স্ট্রবেরি তে পরিদর্শন করে চাষের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারাও নিয়মিত তার তে পরিদর্শন করেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা কয়েক দফা আল আমিনের স্ট্রবেরি তে পরিদর্শন করেছেন।
দীর্ঘ দিন আল আমিনের পিতা আব্দুল বারী মাস্টারের খামার পর্যবেণকারী কৃষিবিদ শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রহীম জানান, আব্দুল বারী মাস্টারের মতোই প্রতিভাবান তার ছেলে আল আমিন। লেখাপড়ার পাশাপাশি জমিতে ফসল চাষে সে যেভাবে সময় ও শ্রম দিচ্ছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। ধান, মৎস্য এবং আপেল ও বাউকুল চাষে সাফল্যের পর এবার স্ট্রবেরি চাষে তার সাফল্য কৃষি বিভাগের জন্য শুভ সংবাদ। আল আমিনের সাফল্যে উজ্জীবিত হয়ে আরো শিতি তরুণ কৃষির উন্নয়নে এগিয়ে আসবে বলে আশা করি। এ েেত্র কৃষি বিভাগের প থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেয়া হবে।
